শহরে দেল পিয়েরো। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
আইএসএল যে গতিতে শুরু করেছে আটলেটিকো দে কলকাতা, তা দেখে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এমনকী বিদেশের মিডিয়াতেও!
কিন্তু গার্সিয়া-শুভাশিস-ফিকরু-অর্ণবদের পারফরম্যান্স দেখে যে তিনি—আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো-ও চাপে, সেটা জানা ছিল না!
শুক্রবার দমদম বিমানদন্দর থেকে দিল্লি ডায়নামোস টিম যখন বেরোল, তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। একে একে সব ফুটবলার টিম বাসে উঠে যাওয়ার পরে একেবারে শেষে তাঁর দেখা পাওয়া গেল। মুখে হাসি আর হাতে একটা ট্রলি ব্যাগ সমেত।
কিন্তু দেল পিয়েরোর সেই হাসি ক্ষণস্থায়ী হতে বিশেষ দেরি হল না। রবিবারের ম্যাচ নিয়ে দিল্লির মার্কি ফুটবলারকে প্রশ্ন করতেই গম্ভীর মুখে জবাব এল, “আটলেটিকো দে কলকাতা অসাধারণ ফুটবল খেলছে। প্রথম ম্যাচটার সময় তো স্টেডিয়ামেই ছিলাম। পরেরটাও টিভি-তে দেখেছি। ওদের সঙ্গে রবিবারের ম্যাচটা দারুণ চ্যালেঞ্জিং হবে।”
দেল পিয়েরোর মতো বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি ফরোয়ার্ডের চোখেমুখেও তখন যেন অভাবিত টেনশন গার্সিয়াদের নিয়ে! এমনকী যে মিনিটকয়েকের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে বিখ্যাত ইতালিয়ান তারকাকে পাওয়া গেল, তাতেও কলকাতার আটলেটিকোর প্রশংসা ছাড়া আর কিছু নেই। টিম বাসে ওঠার আগেও বলে গেলেন, “ম্যাচটা খুব হাড্ডাহাড্ডি হবে।” তার পরেই সোজা টিম হোটেলের দিকে রওনা দিলেন গোটা দিল্লি দলের সঙ্গে।
হোটেলে ঢুকেই লবিতে আটলেটিকো ফুটবলারদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা গেল পিয়েরোদের। লোবো, রফিক, বোরহা— কে নেই সেখানে। দেল পিয়েরো ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে একটু হেসেই লিফটের দিকে এগিয়ে গেলেন।
ম্যাচের আগে বিপক্ষ দলের ফুটবলারদের কি এড়িয়ে গেলেন তিনি? তাঁর মনোভাবের কথা বোঝা না গেলেও, ঊনচল্লিশ বছরের দেল পিয়েরোর চোখেমুখের ক্লান্তি ভাবটা বোঝা যাচ্ছিল। লবিতে বোরহাদের এড়িয়ে গেলেও একই সময় লিফট থেকে বেরিয়ে আসা ফিকরুকে এড়াতে পারলেন না তিনি। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে প্রথমে অভিনন্দন জানালেন দেল পিয়েরো। সঙ্গে সামান্য বাক্যবিনিময়।
দেল পিয়েরো লিফটে করে উপরে উঠে যেতেই ফিকরু বললেন, “গ্রেট ফুটবলার। ওর বিরুদ্ধে রবিবারের ম্যাচটা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy