সামনে র্যান্টি। চিন্তার ভাঁজ মোহন কোচের কপালে।
চোট-আঘাত, ঠান্ডা, অবনমনের লাল চোখ, র্যান্টি মার্টিন্সরা রয়েছে যে যার মতো। তবুও রাংদাজিদ ম্যাচের আগে অকুতোভয় মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা।
শনিবার শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মেঘালয়ের দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে বাগান কোচ টেলিফোনে বলে দিলেন, “জানি র্যান্টি মার্টিন্স বিপক্ষ দলে রয়েছে। কিন্তু আমরা মাঠে নামব তিন পয়েন্টের লক্ষ্যেই।”
এই মুহূর্তে আই লিগে ১৯ ম্যাচের পর মোহনবাগানের পয়েন্ট ২১। লিগ টেবিলে করিমের দল রয়েছে অষ্টম স্থানে। সেখানে ১৮ ম্যাচের পর ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে হেরিং শ্যাংপ্লিয়াং-এর রাংজাজিদ তেরো দলের লিগে রয়েছে এগারো নম্বরে। শনিবার যদি মুম্বই এফসি স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ার বিরুদ্ধে জিততে না পারে তা হলে মোহনবাগানকে হারালেই র্যান্টিদের দল ছুঁয়ে ফেলবে অষ্টম স্থান।
করিম তাই বলছেন, “রাংদাজিদ ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হারা চলবে না।” প্রথম পর্বে ওডাফার ব্যর্থতায় এই রাংদাজিদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল করিমের দলকে। বাগান কোচ বলছেন, “নিজেদের তাগিদেই এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চাই।”
খেলা শুরু বিকেল পাঁচটায়। সন্ধের দিকে শিলংয়ে আবার তাপমাত্রা ঝুপ করে নেমে যায়। ঠান্ডার পাশাপাশি সবুজ-মেরুন শিবির আবার এই ম্যাচে চোটের জন্য পাচ্ছে না শিল্টন, আইবর এবং রাম মালিককে। চোট রয়েছে প্রীতম কোটালের, জ্বর ক্রিস্টোফারের। যদিও শুক্রবার সকালে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন দুই ফুটবলার। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের স্বস্তির খবর, আক্রমণ এবং রক্ষণের এই দুই ফুটবলারই শনিবার শুরু থেকে খেলবেন।
হারলেই তাড়া করবে অবনমনের রক্তচক্ষু। এ রকম ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে এত প্রতিকূলতা নিয়ে জেতা যাবে? করিম বলছেন, “যারা আছে তাদের নিয়েই লড়তে হবে। কোনওমতেই অবনমন হবে না। ডু অর ডাই-এর প্রশ্ন আসছে কোতা থেকে? তবে প্রথম পর্বের চেয়ে এই পর্বে ওরা অনেক শক্তিশালী। র্যান্টি, স্টিভন ডায়াস, গৌরমাঙ্গীদের মতো বেশ কয়েক জন ফুটবলার রয়েছে যারা একার ক্যারিশমাতেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।”
আই লিগের দ্বিতীয় পর্বে বেঙ্গালুরু এফসি এবং ইউনাইটেডকে স্পোর্টসকে হারিয়ে বেশ চনমনে মেজাজে রাংদাজিদ। নতুন জার্সি গা দিয়েই গোল পেয়েছেন র্যান্টিও। রাংদাজিদ কোচও বলছেন, “র্যান্টির অভিজ্ঞতা আমাদের সম্পদ।” সেখানে সবুজ-মেরুন শিবিরে জয় নেই শেষ চার ম্যাচে। তবে মোহনবাগান কোচ এ দিন অনুশীলনের পর এই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন ফুটবলারদের। আর সেই সেই জোশেই রাইট ব্যাক প্রীতম কোটাল বললেন, “র্যান্টির বিরুদ্ধে আগেও খেলেছি। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরবই।”
প্রথম পর্বে এই ম্যাচে হারার পর বাগান অধিনায়ক ওডাফা ওকোলি ব্যর্থতা লুকোতে যুবভারতীর পিছন দরজা দিয়ে পিঠটান দিয়েছিলেন। রাংদাজিদের ঘরের মাঠে সেই শোধ তোলা যাবে? উত্তরে ওডাফার গলায় আপত্তিকর মন্তব্য। চোট সারিয়ে মহমেডানের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে নামার পরে গোল পাননি। ফর্মেও ম্যাড়ম্যাড়ে ছাপ। সবুজ-মেরুন কর্তারা যে তাঁকে আগামী মরসুমে লাল-কার্ড দেখানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন তা বোধহয় আগাম পড়ে ফেলেছেন বাগান অধিনায়ক। তাই এই ম্যাচের আগে বেশ চাপে রয়েছেন বোঝা গেল।
তবে বিপক্ষ কোচ এখনও কিন্তু ওডাফা ফ্যাক্টর মাথায় রাখছেন। বলছেন, “ওডাফা বড় ফুটবলার। মোহনবাগানও ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব। কাজেই কাউকেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছি না।”
শনিবার আই লিগ
মোহনবাগান-রাংদাজিদ (শিলং, ৫-০০),
স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া-মুম্বই এফসি (মারগাঁও, ৫-০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy