বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মিশায়েল শুমাখার ভক্তদের রক্ত হিম করে দিচ্ছে কথাগুলো। কিন্তু তাঁদের কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফর্মুলা ওয়ানের প্রাক্তন চিকিৎসক গ্যারি হার্টস্টেইন নিজের ব্লগ-এ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “সবচেয়ে খারাপ খবরটার জন্য তৈরি থাকুন।” চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। ফ্রান্সের গ্রেনোবল হাসাপাতালের “নির্ভরযোগ্য সূত্র”-এর সঙ্গে নিজের যোগাযোগের উল্লেখ করে হার্টস্টেইন ব্লগে লিখেছেন, “আমার কাছে যা তথ্য রয়েছে তাতে মিশায়েলের চিকিৎসার প্রাথমিক পর্বেই কিছু উদ্বেগজনক ত্রুটি হয়েছিল।”
“তুমি সব সময় অসম্ভবকে সম্ভব করেছ।
কাম অন শুমি আর এক বার করে দেখাও!” —বিরাট কোহলি
কোমায় থাকতে থাকতে শরীরের পঁচিশ শতাংশ ওজন কমে গিয়ে শুমাখার এখন মাত্র ৫৫ কিলোগ্রামের হয়ে গিয়েছেন বলে সম্প্রতি খবর বেরিয়েছিল। আর এখানেই অশনি শঙ্কেত দেখছেন হার্টস্টেইন। যিনি ২০০৫-২০১২ প্রধান চিকিৎসক হিসাবে যুক্ত ছিলেন ফর্মুলা ওয়ানের সঙ্গে। হার্টস্টেইনের মতে, শুমাখার যত বেশি দিন কোমায় থাকছেন তাঁর জ্ঞান ফেরার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হচ্ছে। ওজন কমার অথর্, তাঁর পেশিগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে বা ক্ষয় হচ্ছে। “দীর্ঘ কোমায় থাকা রোগী কয়েক মাসের থেকে কয়েক বছরের বেশি বাঁচে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয় ফুসফুস বা কিডনির সংক্রমণে,” লিখেছেন হার্টস্টেইন। সঙ্গে যোগ করেছেন, “যদিও কোমায় রোগীর ডায়াফ্রাম আর হৃদযন্ত্রের বাইরে অন্য পেশির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবু যদি ধরে নিই মিশায়েল রেসপিরেটর যন্ত্রের সাহায্যে নিঃশ্বাস নিচ্ছে, তা হলেও কিন্তু ওর ডায়াফ্রামের ক্ষয় হতে বাধ্য। যা চিন্তার।” ইনটেনসিভ কেয়ারের না রেখে শুমাখারের মতো রোগীদের একটা সময়ের পর বাড়িতে বা অন্য নার্সিংহোমে উপযুক্ত বন্দোবস্ত করে সরিয়ে দেওয়াটাই রেওয়াজ। কিন্তু চিকিৎসায় ভুল হয়েছিল বলেই গ্রেনোবলের চিকিৎসকেরা এ ক্ষেত্রে সেটা করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন হার্টস্টেইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy