শশাঙ্ক মনোহর বলছেন, ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকের পর তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। শুনিয়ে রাখছেন, “বৈঠকে যা হল, তার পর আমার মোহভঙ্গ হয়েছে!”
শরদ পওয়ার প্রশ্ন তুলছেন, বোর্ড প্রস্তাবিত তদন্ত কমিটির সদস্য জয়নারায়ণ পটেল এবং বোর্ডের অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট শিবলাল যাদবের আত্মীয়তার সম্পর্ক নিয়ে। তিনি শুনেছেন, দু’জনের মধ্যে নাকি শ্যালক-ভগ্নীপতির সম্পর্ক আছে। পওয়ার মনে করেন, পটেলের প্রকাশ্যে বলা উচিত শিবলালের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক আছে কি না।
জগমহোন ডালমিয়া মানেন না, একটা বৈঠকে কারও হার বা জিত নির্ধারিত হয়েছে। বরং বলে দিচ্ছেন, “মঙ্গলবার দেখুন কী হয়।”
ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের অন্যতম প্রধান তিন মুখ। প্রথম ও শেষোক্ত জন মুম্বইয়ে রবিবার বোর্ডের জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় জনের আসার জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসেননি। এবং রবিবাসরীয় বোর্ড বৈঠকের চব্বিশ ঘণ্টা পর এঁদের কেউ আক্রমণাত্মক, কেউ নন।
আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আইপিএল মামলার ফের শুনানি আছে। যেখানে বোর্ডের পক্ষ থেকে আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নিযুক্ত নতুন তদন্ত কমিটি পেশ করা হবে। যদিও সেই তিন সদস্যের কমিটি আদালতে পেশ করার আগেই তার দুই সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কমিটি ঘোষণার পরপরই রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে ক্রিকেটমহলে প্রশ্ন উঠে পড়ে যে, শ্রীনি-ঘনিষ্ঠ বলে তিনি পরিচিত। তা হলে তাঁকে কী ভাবে রাখা হল? এ দিন আবার জয়নারায়ণ পটেলকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন পওয়ার।
“অন্ধ্রপ্রদেশের একজন আজ সকালে আমাকে ফোন করে বলে যে, শিবলাল যাদব আর পটেল দু’জন দু’জনের আত্মীয়। শুনলাম, নাকি শ্যালক-ভগ্নীপতির সম্পর্ক,” এ দিন বলে দেন পওয়ার। সঙ্গে যোগ করেন, “জে এন পটেল সম্পর্কে আমি জানি যে, উনি খুবই দক্ষ একজন বিচারপতি ছিলেন। প্রচুর কঠিন দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু এই সম্পর্কের ব্যাপারটা আমি জানতাম না। এটা যদি সত্যি হয়, তা হলে লোকে কিন্তু বিচার করবে। তবে এটাও জানি, পটেলের মতো কেউ এ সব বরদাস্ত করবেন না। যা কি না তাঁর সুনামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
শুধু তাই নয়, প্রশাসক হিসেবে শশাঙ্ক মনোহর যে অনেক ভাল, সেটাও বলে দিয়েছেন পওয়ার। “মনোহরের কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। ও শুধু খেলাটা নিয়ে আগ্রহী। মনোহর যা-ই বলে, ক্রিকেটের স্বার্থে বলে।” কিন্তু মনোহর নিজে আবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, বোর্ডের বর্তমান ব্যাপারস্যাপারে তিনি বীতশ্রদ্ধ। তদন্ত কমিটিতে শ্রীনি-গোষ্ঠী প্রস্তাবিত আর কে রাঘবনের নির্বাচনের সময় দেখা যায়, মনোহরের পক্ষে এক জন। বিপক্ষে চোদ্দো! সে সব দেখেশুনে কি না কে জানে, মনোহর এ দিন বলে দেন, “বৈঠকে কী হয়েছে না হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। কিন্তু আমি ওখানে গিয়েছিলাম লোকের কাছে ক্রিকেট বোর্ডের ভাবমূর্তিকে পরিচ্ছন্ন করতে। কিন্তু যা হল, তার পর আমার মোহভঙ্গ হয়েছে।” আর সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া তাঁর কী মনে হচ্ছে? ডালমিয়া বললেন, “মনোহর কী বলেছেন না বলেছেন আমি জানি না। বোর্ড বৈঠক নিয়ে নিজের মতামত দিতেও চাইছি না।” কিন্তু বৈঠকে মনোহরের হার মানে তো লোকে বলছে, এক দিক থেকে আপনারও হার। সেটা নিয়ে কী বলবেন? এ বার ডালমিয়ার উত্তর, “একদিনেই হার-জিত ঠিক হয়ে যায় নাকি? মঙ্গলবার দেখুন কী হয়। তার পর এ সব নিয়ে কথা বলা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy