অতিথি শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে এ বার সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এমনকী ২০১২ সালে উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কমিটির সুপারিশের কথা উল্লেখ করে খোঁচা দিতেও ছাড়লেন না তিনি।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে কলেজ স্কোয়ারে বেশ কয়েক দফা দাবিতে অনশন শুরু করেছেন রাজ্যের অতিথি শিক্ষকেরা। পশ্চিমবঙ্গ অতিথি শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রত্যেকের স্থায়ীকরণ, পার্শ্ব-শিক্ষকদের সমমর্যাদা প্রদান ও নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর দাবিতে তাঁদের অনশনে বসেছেন। সরকারকে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এই পথে গিয়েছেন বলে জানান গোপালবাবু।
এই সমস্ত বিষয় নিয়েও সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সূর্যবাবু চিঠি লেখেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ২০১২-য় উচ্চশিক্ষা দফতরের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি পার্শ্বশিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক এবং অতিথি শিক্ষকদের সম্পর্কে একটি ইউনিফর্ম নীতি চালু করার কথা জানিয়েছিল। যে কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন অভিরূপ সরকার। তারপরে বিধানসভায় শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিও অতিথি শিক্ষকদের দাবিগুলি বিবেচনা করার কথা বলেছিল ২০১২ সালেই। তারপরেও কেটে গিয়েছে তিন বছরের বেশি সময়। অতিথি শিক্ষকদের সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ সংগঠনের সদস্যদের। যে কারণে বেতনের পরিকাঠামো ঠিক করা ও নিয়মিত ক্লাস দেওয়ার দাবিতে কলেজ স্কোয়ারে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন অতিথি শিক্ষকরা।
সিপিএম নেতা সূর্যবাবু কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন অতিথি শিক্ষকদের মুখোমুখি হয়ে সমস্যা সমাধান করতে। এবং ফের একটি কমিটি গঠন করে তাঁদের দাবি গুলি খতিয়ে দেখতে। সম্প্রতি তাঁদের অনমশন মঞ্চে এসেছিলেন এসইউসিআই-এর বিধায়ক তরুণ নস্কর। তিনি একই ভাবে অতিথি শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং সমর্থন করেছিলেন তাঁদের দাবিরও।
রাজনৈতিক মহলের মত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে অতিথি শিক্ষকদের অনশন মঞ্চ নিয়েই এমনিতেই বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী। গত রবিবার সরকারি কলেজের শিক্ষক সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে গিয়েও পার্থবাবু অতিথি শিক্ষকদের এই ধরনের আন্দোলনকে বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। তাই বিরোধী দলনেতার চিঠির পরেও আদৌ শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy