সারদা গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে শতাব্দী রায়। ২০১২-র এপ্রিলে সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে। — ফাইল চিত্র
তলব করা হয়েছিল আগেই। অবশেষে আজ, বুধবার সারদা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র তদন্তকারীরা।
সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য শতাব্দী এখন দিল্লিতে। বুধবার তিনি সল্টলেকে ইডি-র পূর্বাঞ্চলীয় দফতরে হাজির হবেন কি না, তা জানতে চেয়ে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিনেত্রী-সাংসদ ফোন তোলেননি। এসএমএস করা হয়েছিল, তারও কোনও জবাব দেননি। এর আগে লোকসভার অধিবেশনের জন্য ইডি-র কাছে সময় চেয়েছিলেন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। ইডি অবশ্য সেই সময় তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছিল।
সারদা কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে তৃণমূলের সাংসদ কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ, আহমেদ হাসান ইমরান, বিবেক গুপ্ত, সৃঞ্জয় বসু, মিঠুন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। তৃণমূলের এই সাংসদদের তালিকায় এ বার যুক্ত হচ্ছে শতাব্দীর নাম। বিভিন্ন সাংসদ ছাড়াও রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এ ছাড়া আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে। তৃণমূলের আর এক সাংসদ মুকুল রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের খবর, সারদার একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী। সেই সূত্রে সারদার সঙ্গে একটি আর্থিক চুক্তি হয়েছিল ওই সাংসদের। তাতে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, চুক্তি অনুসারে ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সারদার কাছ থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন শতাব্দী। এমনকী চুক্তির বাইরেও সারদা থেকে ওই সাংসদ এবং তাঁর এক ঘনিষ্ঠের কাছে টাকা গিয়েছে বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারীরা জানান, বুধবার তাঁকে সব নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সাংসদের দেওয়া নথির সঙ্গে নিজেদের সংগ্রহ করা নথি মিলিয়ে দেখতে চান ইডি-র তদন্তকারীরা।
এর আগে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে চুক্তি করে টাকা নিয়েছিলেন। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পরে নিজেই সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন মিঠুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy