Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইমামদের ভাতা বাড়ছে না, দাবি ওয়াকফের

রাজ্যে ইমাম ভাতা বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি। রবিবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ইমামদের ভাতা বাড়ানোর দাবি তোলে একটি সংগঠন। কিন্তু গনির স্পষ্ট কথা, “নিজস্ব সম্পত্তির সঠিক ব্যবহার করে এখনও আয় বাড়াতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ড। আয় না-বাড়াতে পারলে ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের ভাতা বাড়ানো যাবে না।” উল্লেখ্য, পালাবদলের পরে রাজ্য সরকারের তরফে ওয়াকফ বোর্ডই ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের ভাতা দিচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:০৯
Share: Save:

রাজ্যে ইমাম ভাতা বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি। রবিবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ইমামদের ভাতা বাড়ানোর দাবি তোলে একটি সংগঠন। কিন্তু গনির স্পষ্ট কথা, “নিজস্ব সম্পত্তির সঠিক ব্যবহার করে এখনও আয় বাড়াতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ড। আয় না-বাড়াতে পারলে ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের ভাতা বাড়ানো যাবে না।” উল্লেখ্য, পালাবদলের পরে রাজ্য সরকারের তরফে ওয়াকফ বোর্ডই ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের ভাতা দিচ্ছে।

বর্তমানে রাজ্যে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৬৩ একর ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তার মধ্যে ১০ হাজার একর সম্পত্তি খাস হয়েছে, জবরদখল হয়েছে ৮ হাজার একর জমি। জবরদখলকারীদের মধ্যে রয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। এ ব্যাপারে গনি বলেন, “জবরদখলকারীদের না সরালে ওয়াকফ বোর্ডের আয় বাড়ানো যাবে না।” জবরদখলকারীদের কবল থেকে ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের দায়িত্ব নেওয়া এবং রক্ষায় ইমাম ও মোয়াজ্জিমদেরও এগিয়ে আসার পরামর্শও দেন তিনি। বলেন, “এক দিকে যেমন সম্পত্তি জবরদখল হয়েছে, আবার এখনও ২৯,৯১০টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে যার রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। বহু চেষ্টায় এর মধ্যে ৭০০০ সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। অথচ ১৯৯৫-এর কেন্দ্রীয় ওয়াকফ আইন ও ২০১৩-এর সংশোধনী আইনে কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডকে দিলে তিন মাসেই তা রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামুলক। মসজিদ, ইদগাহ, কবরস্থান সবই ওয়াকফ সম্পত্তি। ফলে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিমদের তা উদ্ধারের দায়িত্ব নিতে হবে।”

এ দিন, ওয়াকফ সম্পত্তি বেআইনি ভাবে হস্তান্তর নিয়েও ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “বহু জায়গায় সম্পত্তি বেআইনি ভাবে হস্তান্তর হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই এই সংক্রান্ত তথ্য ওয়াকফ বোর্ডকে জানাচ্ছেন না। ফলে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে থাকা সত্ত্বেও মুসলিম সমাজ তা থেকে কোনও উপকার পাচ্ছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

imam stipend wakf board
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE