অপহরণের প্রতিবাদ। কোচবিহারে।
সিআইডি তদন্তে কিছু সূত্র মিললেও আলিপুরদুয়ারের সাংবাদিক চয়ন সরকারের কোনও খোঁজ মঙ্গলবারও মেলেনি। রহস্যেরও কিনারা হয়নি। রবিবার রাতে চয়ন নিঁখোজ হন আলিপুরদুয়ারের উপকণ্ঠে সলসলাবাড়ি থেকে। ওই এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁর বাইক ও মানিব্যাগ মেলে। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে হইচই পড়ে যায়। আলিপুরদুয়ার শহরে মঙ্গলবার বন্ধ ডাকে জেলা বামফ্রন্ট। পরে পৃথক ভাবে বন্ধের ডাক দেয় কংগ্রেস-বিজেপিও।
কিন্তু দিনভর সিআইডি অফিসাররা রহস্যের জট ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও রাত পর্যন্ত তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। ওই সাংবাদিকের সঙ্গে রবিবার যাঁদের কথা হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মধ্যে দু’জন সাংবাদিকও রয়েছেন। এ দিনই বেলা ১১টায় শিলিগুড়িতে দলীয় দফতরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘ঘটনার দ্রুত কিনারা হবে বলে আশা করছি।’’ অভিযোগ, গত ২৮ জুলাই চয়নবাবুর বাড়িতে হামলা করে তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী।
সাংবাদিক চয়ন সরকারের অপহরণের ঘটনার প্রতিবাদে
বামেদের বন্ধ আলিপুরদুয়ার শহরে। —নিজস্ব চিত্র।
অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তারপরে রবিবার তাঁর উপরে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত একটি সভায় যাওয়ার পথেই নিখোঁজ হয়ে যান চয়নবাবু। তাঁর পরিবার থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু করে।
সিআইডি সূত্রের খবর, চয়নবাবুর বাইকটিতে হেডলাইট জ্বলছিল। জানা গিয়েছে, টানাহেঁচড়া করে চয়নবাবুকে নিয়ে যাওয়া হলে বাইক উল্টে গেলে সেটির সাধারণত নিভে যাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy