ছিলেন সিপিএমের ‘বিদ্রোহী’ নেতা। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে ভারতীয় ন্যায়বিচার পার্টি (বিএনপি) গড়ে বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল, দু’পক্ষেরই সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ বার বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা শেষ পর্যন্ত জানালেন, তিনি তৃণমূলের সঙ্গেই জোট করতে চান!
কবে কী ভাবে আসন সমঝোতা হবে, সে সব অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিশ্ব সংখ্যালঘু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ভাষা পরিষদে সংখ্যালঘুদের অধিকার বিষয়ক কনভেনশনের শেষে বিধায়ক রেজ্জাক বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের কার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বা আমি তাদের কাছে কত আসন চাইব, কিছুই এখন বলব না। তবে এটুকু বলছি, নিজের দলের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাই।’’ রেজ্জাক না বললেও তাঁর দলীয় সূত্রের খবর, তিনি তৃণমূলের কাছে ৮৫টি আসন চেয়ে দর কষাকষি শুরু করেছেন! কিন্তু শেষমেশ তিনটি আসনে রফা হবে বলে মনে করছেন!
কয়েক দিন আগেও রেজ্জাক ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছিলেন, ১১৩টি বাম গণসংগঠনের মঞ্চ বিপিএমও-র সঙ্গে জোট করতে চান তিনি। বস্তুত, রেজ্জাক তৃণমূল সরকারকে কখনও ছেড়ে কথা বলেননি। এমনকী, এ দিনও তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের সামনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এরা বলেছিল, এত এত দেওয়া হবে। ফুলঝুরি ছড়িয়ে দেওয়া হল। বাস্তবে দেখছি, মুঠোর মধ্যেও কিছু আসছে না!’’ তৃণমূল সম্পর্কে এই মূল্যায়ন সত্ত্বেও তিনি তাদের সঙ্গেই জোট চাইছেন কেন? রেজ্জাকের ব্যাখ্যা, ‘‘এটা রণকৌশল। কিন্তু ভোটে যদি চিৎপাত হয়ে পড়ি, তা হলে চলবে কী করে? তাই শাসক দলের সঙ্গে জোট চাইছি।’’ শেষে তৃণমূলের হাত ধরলে সিপিএমে থাকাকালীন রেজ্জাকের ‘বিদ্রোহে’র ইতিহাসকেও যে অন্য চোখে দেখা হবে, তা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক শিবিরে সংশয় নেই!
সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের এ দিন ঐক্যবদ্ধ ফেডারেশন গড়ার ডাক দেন রেজ্জাক। সুলতান অবশ্য পাল্টা তৃণমূল জমানায় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের ফিরিস্তি দেন। অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে সুলতান বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নাম শুনলেই মুসলিমেরা আতঙ্কে ভুগছেন! ভাবছেন, তাঁরা এ দেশে থাকতে পারবেন কি না! প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ভাল করে চর্চা করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy