উদ্ধার করা হচ্ছে যাত্রীদের। —নিজস্ব চিত্র।
দিঘার অমরাবতী পার্কে হঠাৎই থমকে গেল রোপওয়ে। আর রোপওয়ের কেবিনে বলে আতঙ্কের প্রহর গুনলেন ১৯ জন যাত্রী। শুক্রবার বিকেলে নিউ দিঘার অমরাবতী পার্কের লেকের উপর দিয়ে রোপওয়ে চলার সময় ৮টি কেবিন আচমকা ঝটকা মেরে থেমে যায়। ওই কেবিগুলিতে ছিলেন মোট ১৯ জন যাত্রী। এক ঘণ্টার চেষ্টায় দিঘা থানার পুলিশ ও দমকল এসে ওই যাত্রীদের উদ্ধার করে।
মাস খানেক আগেই মন্দারমণিতে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে বাতিস্তম্ভে প্যারাসুট আটকে মৃত্যু হয়েছিল এক পর্যটকের। শুক্রবার অমরীবতী পার্কের ঘটনা ফের পর্যটক বা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
তবে পার্কের তরফে জানানো হয়েছে, রোপওয়ের কেবিনগুলি যে কেবলের মাধ্যমে সাহায্যে চলে সেই তার কেবলের ঘাঁট থেকে সরে যাওয়ার জন্যই বিপত্তি ঘটে। কোনও পর্যটক অভিযোগ দায়ের না করায় মামলা দায়ের হয়নি বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কী ঘটেছিল শুক্রবার বিকেলে?
জানা গিয়েছে, দুপুর তিনটে নাগাদ রোপওয়ে চালু হয়। আটটি রোপওয়ের মধ্যে এ দিন চলছিল চারটি। মোট যাত্রী ছিলেন মহিলা ও শিশু মিলিয়ে ১৯ জন। উলুবেড়িয়া থেরে বিভাস কর্মকার পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় আধ ঘন্টার বেশি ওপরে ঝুলছিলাম আমরা। কর্মীদের চিৎকার করে ডাকাডাকি করতে তাঁরা আসেন। কিন্তু কিছুই করতে পারেননি। শুধু জানিয়েছিলেন, অনেকক্ষণ
সময় লাগবে।’’
আতঙ্কের কথা ভুলতে পারছিলেন না শর্মিষ্ঠা বসুও। সল্টলেক থেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনিও। ছোট মেয়েকে কোলে চেপে ধরে বলেন, ‘‘আমরা রোপওয়ের কেবিনে বসে লেকের উপর ঝুলছিলাম। মেয়েটাও ভয়ে কান্নাকাটি করছিল। ঘুরতে এসে এমন কাণ্ড হবে ভাবতে পারিনি।’’ যাত্রীদের চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষজন পার্কে ছুটে আসেন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে আসে। দমকল বাহিনী সিঁড়ি লাগিয়ে দশজন যাত্রীকে উদ্ধার করে নামিয়ে আনার পর ফের রোপওয়ে ঠিক হয়ে যায়। বাকিরা রোপওয়ের স্ট্যান্ড দিয়েই নামেন। পুলিশ জানিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা।
কয়েক মাস আগেই মন্দারমণিতে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে বাতিস্তম্ভে প্যারাস্যুট জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল এখ পর্যটকের। তারপর দিঘার সৈকতে বিনোদন ব্যবস্থা নিয়ে নানা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। তারপরও অমরাবতী পার্কের এই ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলে দিল সৈকতশহরের বিনোদন নিরাপত্তা নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy