লগ্নি-কেলেঙ্কারি মামলায় তাদের দফতরে এসে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে তৃণমূল নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে লিখিত নোটিস পাঠাতে চলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এর আগে মৌখিক ভাবে অনুরোধ করা হলেও শঙ্কুদেব সিবিআই অফিসে যাননি। তাই দু’এক দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে তলব করা হচ্ছে তাঁকে।
ভোট এগিয়ে আসতেই সারদা-সহ কয়েকটি লগ্নি সংস্থার বিপুল কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত গতি পেয়েছে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অন্তত ১৯ জন বড় ও মাঝারি স্তরের নেতা-সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নোটিস পাঠাতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। শঙ্কু সেই তালিকার পয়লা নম্বরে রয়েছেন।
সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, কোনও মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউকে ডেকে পাঠানোর এক্তিয়ার তদন্তকারী অফিসারের রয়েছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধি মেনেই নোটিস পাঠানো হয়। হাজির হওয়ার জন্য সেই নোটিসে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। শঙ্কুকেও নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। ওই নোটিসের পরেও সিবিআই দফতরে হাজির না-হলে শঙ্কুদেবের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ওই সিবিআই কর্তা।
আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা শঙ্কুদেব ইএম বাইপাস সংলগ্ন তৃণমূল ভবনকেই তাঁর কলকাতার ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করেন। তাঁকে তলব করা হলে কোন ঠিকানায় নোটিস পাঠানো হবে, তা নিয়ে ধন্দ ছিল। শনিবার সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানায়, নোটিশ পাঠানো হবে শঙ্কুদেবের পৈত্রিক ঠিকানাতেই।
কী ভাবে লগ্নি-কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব?
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, শঙ্কুদেব সারদার একটি সংবাদ চ্যানেলে চাকরি করতেন। পরে সে চাকরি ছেড়ে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি হন। কিন্তু তার পরেও মাসের পর মাস ওই চ্যানেল থেকে বেতন তুলেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। পাশাপাশি, রোজ ভ্যালি সংস্থার সঙ্গেও তাঁর যোগের বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এ সব নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান।
শঙ্কুদেবের চাকরি জীবনের শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে। পরে চলে আসেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে। ২০০৯-এ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র রাজ্য সভাপতি পদে শঙ্কুদেবকে বসান মমতা। কিন্তু তাঁর আচরণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠায় তাঁকে সে পদ থেকে সরানো হয়। কিন্তু তুলে আনা হয় দলের উচ্চ পদে। তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন শঙ্কুদেব পণ্ডা। দলের নিজস্ব টিভি চানেলেও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী শঙ্কু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy