বাগান নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ কংগ্রেস

ডুয়ার্সের বন্ধ বাগানগুলির নানা সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল জেলা কংগ্রেস।

শনিবার হাসিমারা বায়ুসেনার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সে জন্য বিশেষ বিমানে শুক্রবার বিকেলে হাসিমারা পৌঁছোন প্রণববাবু। সেখান থেকে সড়ক পথে জলদাপাড়া জঙ্গল ঘেঁষা মাদারিহাট টুরিস্ট লজে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার, মালবাজারের বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা ও দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার সহ কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। বন্ধ বাগানগুলি চালু করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

মালবাজারের বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা জানিয়েছেন, বন্ধ বাগান নিয়ে একটি স্মারকলিপি তাঁরা প্রণববাবুর হাতে তুলে দেন। তরাই ও ডুয়ার্সের বন্ধ বাগানের তালিকা সহ সেখানকার স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। প্রণববাবু তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতারা।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আলিপুরদুয়ার-কলকাতা রেল লাইন বসানোর ব্যাপারেও প্রণববাবুকে আর্জি জানিয়েছে প্রতিনিধিদলটি। বিশ্বরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রণববাবুর সম্পর্ক ভাল। রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিলে ওই পথে রেল চালানো সম্ভব বলেই আমরা আবেদন করেছি।’’

ভুটানে কাজ করতে গিয়ে এ বছরের শুরুতে মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। নিহত কিশোরীর পরিবারকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার অনুমতি চান তাঁরা।

শুধু কংগ্রেস নেতা নন, জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের স্কুলের কর্মী শান্তি মুখুটিও এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। তিনি নিজের বেতনের টাকার একটা বড় অংশ দরিদ্রদের সেবার কাজে খরচ করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর এই কাজের প্রশংসা করেন। শান্তিবাবুর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ ও আমার কাজ সম্পর্কে তাঁর খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বিষয়টি এখন স্বপ্নের মতো। যত দিন বেঁচে থাকব। এই সেবা করে যাব।’’