আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনের প্রচারে বাইক-মিছিলের অভিযোগ করেছিলেন বারাবনির বিডিও উজ্জ্বল বিশ্বাস।
কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ তলব করেছিল অভিযোগকারী ওই বিডিও-কেই। বারাবনি থানার সাব-ইন্সপেক্টর হারাধন গোস্বামীর সেই তলবি চিঠির ভাষাতেও সৌজন্যের তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সেই অভিযোগে ওই পুলিশ অফিসারের হাত থেকে তদন্তের ভার ‘কেড়ে’ নিয়ে অন্য এক পুলিশ কর্মীর হাতে তা দেওয়ার নির্দেশ দেন আসানসোলের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। হারাধনবাবুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ দিন পুলিশ কমিশনার নিজেই তাঁদের ‘তৎপরতা’র কথা জানিয়েছেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে। বিনীত জানান, ওই পুলিশ অফিসার ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ করেছেন। ওই সরকারি অফিসারকে ‘তলব’ করার ধরনে যে ভুল ছিল তাও কবুল করেন পুলিশ কমিশনার। কমিশনারেটের অন্যতম এক শীর্ষ অফিসারের দাবি, পদস্থ পুলিশ কর্তাদেরও ‘অন্ধকারে’ রেখেই ওই তলবি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যা বাহিনীতে ‘গর্হিত কাজ’ বলেই গণ্য হয়। বিডিও-কে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি যে নির্বাচন কমিশনও ভাল ভাবে নেয়নি, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে বার্তা দিয়েছে কমিশন। যেহেতু থানার সব কাজের দেখভালের দায়িত্ব ওসি-র, তাই হারাধনবাবুর কাজের জন্য বারাবনির অফিসার ইন-চার্জ সন্দীপ চট্টরাজকেও বদলির সুপারিশ করেছে কমিশন। মঙ্গলবার ওই সুপারিশ পৌঁছেছে নবান্নে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিডিও-কে ডেকে পাঠানোর ঘটনা শুধু আসানসোলের পুলিশ কমিশনার নয়, জানতেন না ওই থানার ওসি-ও। এ দিন ঘটনাটি সংবাদপত্র পড়ে জানতে পেরে তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। নির্বাচন কমিশনের কাছে বারাবনির ঘটনার জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশও করেছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy