কর্মবিরতির প্রতিবাদে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক অরণি চক্রবর্তী। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার বিশ্বভারতী অচল করার আন্দোলন জারি রইল শনিবারেও। তবে কর্মবিরতির চতুর্থ দিনে জনাকয়েক অধ্যাপক বন্ধের বিরোধিতা করতে পথে নামলেন। কিছু ক্লাসও হয়েছে অর্থনীতি, ইংরেজি, ইতিহাস, সমাজকর্ম প্রভৃতি বিভাগে। ছাত্র-অভিভাবকদের একাংশ অবশ্য আন্দোলন জারি রেখেছে।
তবে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে বেতন জমা না পড়ায় এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপা উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। বেতনের দাবি, এবং সদ্য-অবসরপ্রাপ্ত সাত কর্মীর প্রাপ্য দাবি করে বিকেলে আন্দোলনকারীদের একাংশ অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান শুরু করেন। কেন বেতনের দিন মিলল না বেতন? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, পঠন-পাঠন, গবেষণা-সহ নানা কাজ যেমন বন্ধ, তেমনই বেতনের কাগজপত্র তৈরি করার জন্য কোনও কর্মীকে পাওয়া যায়নি।
তবে বিশ্বভারতীতে টানা বন্ধের প্রতিবাদে এ দিন প্রায় একাই শিক্ষাভবনে পোস্টার হাতে প্রতিবাদ জানান পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক অরণি চক্রবর্তী। কয়েকজন বিজ্ঞানের অধ্যাপক তাঁকে সমর্থন জানান। যেখানে ক্লাস হচ্ছে, তেমন একটি বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, উপস্থিতি ২০-২৫ শতাংশ কম। তাঁর আক্ষেপ, বন্ধ অগ্রাহ্য করে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন জারি রাখার জন্য উৎসাহ ও আশ্বাস দিতে বিভাগীয় প্রধান বা প্রশাসনিক কর্তারা কোনও পদক্ষেপ করেননি।
কেন ছাত্র-অভিভাবক ও কর্মীদের একাংশের ‘অনুরোধে’ এ ভাবে দিনের পর দিন বন্ধ চলছে? উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন বিশ্বভারতীর অধিকাংশ ভবনের অধ্যক্ষ ও প্রোভোস্টেরা। ফোন ধরেননি, এসএমএসের জবাব দেননি মিডিয়া ইন্টারফেস কমিটির চেয়্যারপার্সন তথা প্রোভোস্ট সবুজকলি সেন। যোগাযোগ করা যায়নি বিদ্যাভবন, ভাষাভবন, পল্লিশিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষদের সঙ্গে। সঙ্গীতভবনের অধ্যক্ষ সব্যসাচী সরখেল ও শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ সুধেন্দু মণ্ডল বলেন, পড়ুয়া না আসায় ক্লাস হচ্ছে না। কলাভবন স্বাভাবিক ছিল, দাবি ভবনের অধ্যক্ষ শিশির সাহানার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy