Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

যাদবপুরে ডেকে ভর্তির নামে টাকা নিয়ে উধাও

কলকাতায় ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার ইচ্ছে ছিল পড়শি রাজ্যের দুই ছাত্রের। পড়তে হল প্রতারকদের খপ্পরে। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না-করে কিছু যুবকদের পাল্লায় পড়ে কয়েক লক্ষ টাকা খুইয়ে দুই ছাত্র এখন পুলিশের দ্বারস্থ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২৭
Share: Save:

কলকাতায় ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার ইচ্ছে ছিল পড়শি রাজ্যের দুই ছাত্রের। পড়তে হল প্রতারকদের খপ্পরে। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না-করে কিছু যুবকদের পাল্লায় পড়ে কয়েক লক্ষ টাকা খুইয়ে দুই ছাত্র এখন পুলিশের দ্বারস্থ।

পুলিশ জানায়, প্রতারিত দুই ছাত্রের নাম প্রফুল্লকুমার মিশ্র ও সন্তন কুমার। দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। এক জন কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্য জন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চেয়ে ইন্টারনেটে নিজেদের ফোন নম্বর উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দেন। কিছু দিন পরে দুই ছাত্রেরই মোবাইলে মেসেজ আসে, কলকাতায় ভাল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। সেটা যে ফাঁদ, প্রফুল্ল বা সন্তন বুঝতে পারেননি। মোবাইল-বার্তায় দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী তাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন।

পুলিশের কাছে অভিযোগে দুই ছাত্র জানিয়েছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বিভাগের মধ্যে বসিয়ে তাঁদের দিয়ে ভর্তির ফর্ম পূরণ করিয়ে নেয় কয়েক জন যুবক। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফটও নেওয়া হয়। পরে আলাদা আলাদা ভাবে দু’লক্ষ এবং তিন লক্ষ টাকা দাবি করা হয় দুই ছাত্রের কাছে। তাঁরা সেই টাকাও দিয়ে দেন। কিন্তু তার পরে বারবার চেষ্টা করেও তাঁরা আর ওই যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা ফের কলকাতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে যান। জানতে পারেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াই চলে অনলাইনে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে দুই ছাত্র ৩১ জুলাই যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেন।

প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। এই ব্যাপারে কী বলছেন যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ?

ওই দুই ছাত্রের উপরেই দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এখানে তো ভর্তি হয় অনলাইনে। ওই দুই ছাত্রই অন্য পথে ভর্তি হতে চেয়েছিল। আমরা পুলিশকে সেটা জানিয়ে দিয়েছি।’’ যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো দু’টি বিভাগে বসিয়ে ভর্তির ফর্ম পূরণ করানো হল। দফায় দফায় টাকা নিয়ে অভিযুক্তেরা উধাও। কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন কী ভাবে?

‘‘ক্যাম্পাসে কোথায় কী হচ্ছে, সব সময় তার উপরে নজর রাখা সম্ভব নয়,’’ সাফ কথা রেজিস্ট্রারের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE