হাজারো প্রচার, কমিটির পর কমিটি গঠন এবং বিভিন্ন আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও র্যাগিং নামক ব্যাধিটিকে ঠেকানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার কলকাতায় এক আলোচনাসভায় এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কলেজগুলিকে র্যাগিং-মুক্ত করতে ‘অ্যান্টি র্যাগিং’ বা র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটিগুলিকে আরও তৎপর হওয়ার এবং আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জজ সমরেশপ্রসাদ চৌধুরী। সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আরও বেশি আইনি সাহায্য দিয়ে এর প্রতিকারের কথা বলেন তিনি।
ওই জেলার আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফেই এ দিন র্যাগিং-বিরোধী আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। র্যাগিংয়ের মোকাবিলায় নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে হাইকোর্ট পর্যন্ত বিভিন্ন আদালত নানা সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, দাওয়াই বাতলেছে। কিন্তু কাজের কাজ যে খুব কিছু হয়নি, সেই সব নির্দেশের পরেও র্যাগিংয়ের ঘটনা তারই প্রমাণ। এ দিনের সভায় সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে। ওঠে আরও বেশি আইনি সচেতনতা শিবির করার প্রয়োজনের কথা। জেলা জজও এই ধরনের শিবিরের উপরে জোর দেন। র্যাগিংয়ের প্রতিকারে আইন ও বিচার ব্যবস্থা কী ভাবে তাঁদের পাশে আছে, সেই বিষয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আরও সচেতন করা দরকার বলে বক্তারা জানান।
আয়োজক সংস্থার সচিব অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। র্যাগিংয়ের ফলে অনেক ছাত্রছাত্রী কী ভাবে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন, উদাহরণ দিয়ে তা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীদের কাছে। র্যাগিং বিষয়ে আইনি প্রতিকার সম্বন্ধে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দেন, র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া মাত্র যেন স্থানীয় থানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy