মাস্টারমশাই আপনি কিন্তু কিছু দেখেননি।
সেই আতঙ্কই তাড়া করে বেড়াচ্ছে মাস্টারমশাইদের। তপন সিংহের ‘আতঙ্ক’ ছবির মতোই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা হুমকি দিচ্ছেন বলে করেন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের চূড়ামণ হাইস্কুলের শিক্ষকদের কয়েক জন। ভয়ে তাঁরা পরীক্ষায় নজরদারি করতেও নারাজ।
সোমবার অঙ্ক পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে ওই স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক পরীক্ষায় নজরদারি করবেন না বলে জানান। সে কথা কানে যায় রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকেরও (মাধ্যমিক)। তাঁদের নেতৃত্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধিরা স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এর পর পুলিশি প্রহরায় শিক্ষকেরা নজরদারি করেছেন। স্কুলের ভিতরে ও বাইরে বিরাট পুলিশ বাহিনীও ছিল।
চূড়ামণ হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার আসন পড়েছে ইটাহার হাইস্কুলের প্রায় ২০০ জনের। শনিবার ভূগোল পরীক্ষার সময় ১৬ নম্বর ক্লাসরুমে নজরদারি চালানোর সময়ে কল্যাণ মণ্ডল নামে এক শিক্ষক এক পরীক্ষার্থীর থেকে টুকলির কাগজ কেড়ে নেন। তাতেই ওই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কল্যাণবাবুর বচসা বেধে যায়। পরীক্ষা শেষের পর শিক্ষকদের একাংশ রায়গঞ্জ ও মালদহগামী বাস ধরার জন্য চূড়ামণ থেকে ইটাহার চৌরাস্তাগামী বাসে ওঠেন। পরীক্ষার্থীদের একাংশ আগে থেকেই ওই বাসে ছিলেন। চূড়ামণ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস মজুমদারের অভিযোগ, চলন্ত বাসেই একদল পরীক্ষার্থী কল্যাণবাবু-সহ স্কুলের কয়েক জন শিক্ষককে গালাগালি ও ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। অভিযোগ, সেই সময় এক দল পরীক্ষর্থী কয়েক জন শিক্ষকের উপর চড়াও হওয়ারও চেষ্টা করে। অন্য শিক্ষক ও যাত্রীদের বাধায় তখন শিক্ষকদের উপর হামলা চালাতে না পেরে পরীক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আশিস মজুমদার বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমরা পুলিশে অভিযোগ জানাইনি।’’
এ দিন টুকলি করতে না দেওয়ার রাগে এই জেলারই ইসলামপুরের মিলনপল্লি হাইস্কুলে ভাঙচুর চালায় ইসলামপুরের হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের কয়েক জন। তবে চূড়ামণ হাইস্কুলের টুকলিকে কেন্দ্র করে গোলমালের ঘটনা এই প্রথম। ইটাহার হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যাদব চৌধুরীর দাবি, ঘটনার কথা জানার পরেই শনিবার এবং এ দিন স্কুলের তরফে দুই শিক্ষক চূড়ামণ হাইস্কুলে গিয়ে তাঁদের পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy