Advertisement
০৩ মে ২০২৪

ভোট-যুদ্ধের দিননামচা

বিধাননগরের এক নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন বুথে বিরোধী দলের এজেন্টেদের ঢুকতে বাধা।

বৈশাখীর একটি বুথে। ছবি: সৌভিক দে।

বৈশাখীর একটি বুথে। ছবি: সৌভিক দে।

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৫ ১০:০২
Share: Save:

সল্টলেক

সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট: বিধাননগরের এক নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন বুথে বিরোধী দলের এজেন্টেদের ঢুকতে বাধা।

সকাল ৭টা ১৫ মিনিট: চার নম্বর ওয়ার্ডে সলুয়া মাদ্রাসা স্কুলে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা। অন্যান্য ওয়ার্ডেো শুরু হয়ে যায় ছাপ্পা ভোট। বিধাননগর পুরসভার মহিষবাথান এলাকায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী সৌভিক প্রামাণিকের এজেন্টদের পোলিং বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।

সকাল ৭টা ৩০ মিনিট: বিধাননগর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকর্মীরা ভোটার স্লিপ বিলি করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

সকাল ৮টা: বিধাননগর পুরসভার অর্জুনপুর চড়কতলা এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী সঞ্চিতা দাসকে ভোটকেন্দ্র ঢুকতে বাধা। তাঁর পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

সকাল ৮টা ৩০ মিনিট: ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে এপিসি স্কুলের বুথ দখল এবং মারধর করে অসীম দাশগুপ্তর এজেন্টকে বার করে দেওয়া হয়। অসীমবাবুর অভিযোগ করেন, পরিচয় পত্র না দেখেই পুলিশ ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে। পুলিশ এলাকা থেকে বহিরাগতদের সরিয়ে দেয়

সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট: ফের এপিসি স্কুলের দখল নেয় বহিরাগতরা। মারধর করা হয় বিরোধী দলের এজেন্টদের।

সকাল ৯টা ১৫ মিনিট: বিধানগরের এসি ব্লকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথ দখল নিয়ে বহিরাগতদের ছাপ্পা দেওয়া অভিযোগ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মারধর করে বের করে দেওয়া হয় ভোটারদের। মাটিতে ফেলে পেটানো হয় ভোটারদের। অভিযোগ,পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।পুলিশের সামনেই ভোটারদের ফলে পেটায় বহিরাগতরা। মারধর করা হয় মহিলাদেরও। পুলিশ চলে যাওয়ার পরেই সেখানে আসে তৃণমূল প্রাথী এবং তার দলবল। ফের বাধা দেওয়া হয় ভোটারদের।এফডি ব্লকে বহিরাগতদের হটাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পাঁচিল টপকে পালায় বহিরাগতরা।

সকাল ৯টা ২০ মিনিট: তিন নম্বর ওয়ার্ডে নারয়ণপুর এফপি স্কুলে সিপিএমের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ।

সকাল ৯ টা ৩০মিনিট: বিধাননগরের ২১ নম্ব ওয়ার্ডে ইভিএম ভাঙচুর করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক জন প্রিসাইডিং অফিসার। তার আগেই এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথ বহিরাগতরা দখল করে বলে অভিযোগ ওঠে।

সকাল ৯ টা ৩৫মিনিট: বিধাননগরের ইই ব্লকের সভাপতি বিশ্বজিৎ মাইতিকে হেনস্থা। তাঁর পরিচয় পত্র ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ।

সকাল ৯ টা ৪৫মিনিট: বিধাননগরের ইই ব্লকের সভাপতি বিশ্বজিৎ মাইতিকে হেনস্থা। তাঁর পরিচয় পত্র ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ।

সকাল ৯ টা ৫০মিনিট: ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কিশলয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের দিয়ে জোর করে টিএমসি প্রার্থীর বোতাম টেপানোর অভিযোগ

সকাল ১০ টা: ইই ব্লকের রবীন্দ্রভবনে সিপিএমের পুরুষ ও মহিলা সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাড়ায় টিএমসির সমর্থকদের। খবর পেয়ে এই বুথে দ্বিতীয়বার আসেন অসীম দাশগুপ্ত।

সকাল ১০ টা ১০ মিনিট: ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মনিকা দেবনাথকে মারধর করে টিএমসির সমর্থকরা।

সকাল ১০ টা৩০ মিনিট: বিডি স্কুলের সামনে শুরু হয় বোমাবাজি। রাস্তায় পড়ে থাকে বোমা। বোমাবাজিতে জখম হন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থী অনুপম দত্ত সহ তিন জন। নয় নম্বর ওয়ার্ডের তেঘড়িয়ায় স্কুলের সামনে দুটি পেট্রল বোমা ছোড়া হয়। আতঙ্কিত হয়ে পালায় ভোটাররা।

সকাল ১০ টা৪৫ মিনিট: ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এটিআই-র সামনে পুলিশকে ঠেলে বুথে ঢুকে বহিরাগতরা ছাপ্পা মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

বেলা ১১ টা: ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হজহাউসের সামনে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ।

বেলা ১১টা ৩০ মিনিট: রমলা চক্রবর্তীর ওয়ার্ডে সমস্ত বুথ দখল কের ফেলার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তার আগে সারা এলাকায় আটটি বোমা ফাটে। বিধাননগরের বিদায়ী পুরপ্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ওয়ার্ডেও ব্যাপক মারপিট হয়।

বেলা ১২ টা: বিধাননগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে উধাও হয়ে যায় পুলিশ। বিধাননগরের বিভিন্ন রাস্তার দখল নেয় বহিরাগতররা।

বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট: অরবিন্দ স্কুল থেকে সিপিএম এজেন্টদের বার করে দেওয়া হয়। সিপিএম কর্মী এবং সমর্থকদের মারধর করা হয়। অসীম দাশগুপ্তর এক প্রতিবেশী ভোট দিতে পারেননি। তাই শুনে অসীমবাবু এলে শাসক দলের সমর্থকরা ভেঙচি কাটেন বলে অভিযোগ।

বেলা ১টা: ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথ থেকে ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন সিপিএমের প্রার্থীরা। ফাঁকা বুথে অবাধে ছাপ্পা শুরু হয়। এই ওয়ার্ডে বামেদের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর আক্রমণ।

বেলা ১ টা ১৫ মিনিট: আক্রমণ শুরু হয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপরে এটিআইয়ের সামনে। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা। অভিযোগ, আক্রমণ করা হয় পুলিশকেও।

বেলা ১ টা ৩০ মিনিট: বিধাননগরের একুশ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু হয় বোমাবজি। প্রকাশ্যেই অস্ত্র নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা।

দুপুর ২টো ৩০ মিনিট: নাগেরবাজারে সিপিএম নেতা গৌতম দেবের সাংবাদিক সম্মেলন।

বেলা ৩ টে: নির্বাচন বাতিলের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য নেতারা।

বেলা ৩ টা ৩০মিনিট: কৈখালিতে গুলিবিদ্ধ হন দুই সিপিএম কর্মী। বাধে সংঘর্ষ। বাইকে আগুন।

বিকেল ৪টা: ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে বিজেপি নেতাদের অবস্থান তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। আশ্বাস দেন তাঁদের দাবি বিবেচনা করার। বিজেপি নেতৃত্ব অনুরোধ সাড়া দেয় না।

বিকেল ৪টা ২৫ মিনিট: দেবরাজ গ্রেফতার।

বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট: বিমান বসুর নেতৃত্বে সিপিএমও নেতারাও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস নেতারাও বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ঘরে।

বালি

সকাল ৭টা: লিলুয়ার মিরপাড়া অবৈতনিক স্কুলে বিরোধী দলের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয় না। তৃণমূলের এজেন্টরা বুথে থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছে।

সকাল ৮ টা ৩০: বেলুড়ের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী মারধরের অভিযোগ।

বেলা ১ টা: সিপিএমের জোনাল অফিস তালাবন্ধ করে কর্মীরা বসে রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE