রায়গঞ্জে গত জুলাই থেকে প্রশাসকই চালাচ্ছেন পুরসভা। ডোমকলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে দু’বছর আগে। আটকে রয়েছে পূজালি এবং পাহাড়ের চার পুরসভার ভোটও। রাজ্যের এই প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত। সেই মামলায় এ দিন রাজ্য জানিয়ে দিল, ১৯ মে-র মধ্যে তারা পুরভোটের প্রক্রিয়া শেষ করবে।
রাজ্যের প্রস্তাব
• ১৭ এপ্রিল: ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি। মনোনয়নপত্র জমা শুরু।
• ২৪ এপ্রিল: মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন।
• ১৪ মে: সাত পুরসভায় একসঙ্গে ভোট।
• ১৯ মে-র মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ।
দিন দশেক আগে মোহিতের করা মামলায় বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি শঙ্কর আচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করে হলফনামা দিতে বলে। রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার এ দিন হাইকোর্টকে জানান, সরকার ১৯ মে-র মধ্যে পুরভোটের প্রক্রিয়া শেষ করবে। এর পরেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের যুগ্মসচিব রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, তাদের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ মেনেই এই সাতটি পুরসভায় ভোট করতে তৈরি রাজ্য।
জিটিএ এলাকার চার পুরসভার মেয়াদও গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। জিটিএ-র আইনজীবী অয়নাভ রাহা জানান, দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিক পুরসভায় নির্বাচন না করে রাজ্য সেগুলিতে প্রশাসক বসিয়েছে। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডনের আদালতে মামলা করেছে জিটিএ। সেই মামলার শুনানি হবে আজ, বৃহস্পতিবার। সেখানেও রাজ্য একই কথা জানাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy