Advertisement
০৪ মে ২০২৪
State news

ফেসবুক আসক্তি, বাবা-মা বকাবকি করায় আত্মঘাতী ছাত্রী!

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মনসাবাড়ির নতুনগ্রামে। একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

মাম্পি দাস।

মাম্পি দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবরা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:০৭
Share: Save:

দিনরাত ফেসবুক, হোয়াট্‌সঅ্যাপে মুখ গুজে পড়ে থাকত মেয়েটা। পড়াশোনায় একেবারেই মন ছিল না। সে দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ও খুব বকাবকি করেছিল বাবা-মা। সেটাই বোধহয় মানতে পারেনি। কারণ, এর পরেই সে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল!

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মনসাবাড়ির নতুনগ্রামে। একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ওই ছাত্রীর নাম মাম্পি দাস (১৮)। পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করেছে।

মাম্পি হাবরারই কামিনিকুমার গার্লস স্কুল পড়ত। তার বাবা বিকাশ দাস জানান, ইদানীং একেবারেই পড়াশোনায় মন ছিল না মাম্পির। সব সময় ফেসবুক এবং হোয়াট্‌সঅ্যাপেই পড়ে থাকত। এ নিয়ে দিনরাত তাকে বকাবকিও করতেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: অপহরণের ‘নাটক’, বাবার কাছে মুক্তিপণ চাইল ছেলে!

ঘটনার দিন কী হয়েছিল?

মাম্পির বৌদি হাবরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার রাতে হাসপাতাল থেকে তাঁর ছুটি হলে মাম্পির বাবা-মা ‘বৌমা’কে আনতে যান। আর মাম্পির দাদা বাড়ির পাশে নিজের কারখানায় কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই রাতেও বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ওই একই কারণে মাম্পিকে বকাবকি করেন তার বাবা-মা। মাম্পি অবশ্য চুপচাপই ছিল। এই বকাবকির প্রত্যুত্তরে কিছু বলেনি। রাতে বাড়ি ফিরে মাম্পির ঘরে দিকে যেতেই হতভম্ব হয়ে পড়েন তার বাবা-মা। ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মাম্পির দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

মাম্পির স্কুলের বন্ধুরা জানিয়েছে, একটি বা দু’টি নয়, একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল তার। শুধুমাত্র বকাবকি করাতেই এমন কাণ্ড সে ঘটাল না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE