Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

পুর শিক্ষা দফতরে আচমকা নয়া পদ, বিতর্ক

এক কলেজ শিক্ষিকাকে কলকাতা পুরসভায় ‘জায়গা’ দিতে পুরশিক্ষা দফতরে বিশেষ পদ তৈরি করতে চায় পুর প্রশাসন। পুরসভার শিক্ষা দফতরে এখন চিফ ম্যানেজার-সহ একাধিক কর্তা রয়েছেন। এ বার সেখানে ‘এডুকেশন অ্যাডভাইসার’ নামে একটা নতুন পদ তৈরি করতে চান পুরকর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:২৬
Share: Save:

এক কলেজ শিক্ষিকাকে কলকাতা পুরসভায় ‘জায়গা’ দিতে পুরশিক্ষা দফতরে বিশেষ পদ তৈরি করতে চায় পুর প্রশাসন। পুরসভার শিক্ষা দফতরে এখন চিফ ম্যানেজার-সহ একাধিক কর্তা রয়েছেন। এ বার সেখানে ‘এডুকেশন অ্যাডভাইসার’ নামে একটা নতুন পদ তৈরি করতে চান পুরকর্তারা। এ নিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে পুর প্রশাসন। তাতে নতুন ওই পদে মধ্য কলকাতার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এক সংখ্যালঘু কলেজের শিক্ষিকাকে ডেপুটেশনে পাঠানোর কথা লেখা হয়েছে। শিক্ষা দফতর অবশ্য এখনও এ বিষয়ে কোনও সবুজ সংকেত দেয়নি।

কলকাতা পুরসভার অধীনে আড়াইশোরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর সঙ্গে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রও আছে। তা দেখভালের দায়িত্বে পৃথক মেয়র পারিষদও রয়েছেন। বর্তমানে ওই পদে আছেন পুরসভার ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি নিজেও পুরসভার প্রাথমিক স্কুল পরিচালনায় কড়া নজর রাখছেন বলে পুর সূত্রেরই দাবি। তা সত্ত্বেও কেন ওই ধরনের একটি নতুন পদ তৈরি করার প্রয়োজন হল? এ প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে শিক্ষা দফতরকেও। কানাঘুষো চলছে কলকাতা পুরসভার অন্দরমহলেও। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পেছনে পুরবোর্ডের এক কর্তার অনুমোদন থাকায় অনেকেই মুখ খুলতে পারছেন না। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে কলকাতা পুরসভা থেকে একটি চিঠি আসে তাদের কাছে। তাতে বলা হয়, পুরসভার শিক্ষা দফতরের মান উন্নয়নের জন্য ‘এডুকেশন অ্যাডভাইসার’ নামে একটি পদ তৈরি করতে চায় তারা। এর জন্য ডেপুটেশনে কোনও অধ্যাপক বা শিক্ষকের নাম পাঠানো হোক পুরসভায়। তাতে অবশ্য তেমন সাড়া দেয়নি উচ্চশিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, ওই চিঠির সুবাদে যে কারও নাম চলে আসতে পারত। তাতে বিশেষ কাউকে নেওয়ায় সমস্যাও হতে পারে। সে সব ভেবেই প্রার্থীকে দিয়ে একটা আবেদন করানো হয় পুর প্রশাসনের কাছে। তাতে প্রার্থী নিজেই লেখেন, বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন পুরসভার শিক্ষা দফতর একজনকে ‘এডুকেশন অ্যাডভাইসার’ পদে নিয়োগ করতে চায়। ওই পদে যোগ দেওয়ার আগ্রহের কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, তাঁর ‘জ্ঞান’ এবং ‘যোগ্যতা’ পুরসভার শিক্ষা দফতরের উন্নয়নে লাগাতে চান তিনি।

উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, দিন কয়েক আগে ফের একটি চিঠি আসে পুরসভা থেকে। তাতে ওই পদে পুর প্রশাসন যাঁকে নিতে আগ্রহী, তাঁর সম্পর্কে সবিস্তার জানানো হয়। সেই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, ওই শিক্ষিকাকে ডেপুটেশনে পাঠানো সম্ভব কি না? পুরসভার পদে যোগ দিলে সিনিয়রওটি থাকবে তো? বেতন কাঠামো কেমন হবে? ওই চিঠিরও জবাব পুরসভাকে পাঠায়নি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE