কেউ বলছেন, ফেল করলেও পাস করাতে হবে। কেউ বলছেন, হাজিরা কম তো কী হয়েছে, পরীক্ষায় বসতে দিতেই হবে।
পড়ুয়াদের এমন ‘বিচিত্র’ আবদারে জেরবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ক’দিন আগেই পাস করানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে ধুন্ধুমার বাধায় ফেল করা কিছু পড়ুয়া। সোমবার ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তৃতীয় বর্ষের সেই ছাত্রছাত্রীদের দাবি, ক্লাসে হাজিরা কম হলেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। আরও এক ধাপ এগিয়ে অধ্যক্ষের অপসারণও চেয়েছেন তাঁরা।
এ দিন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসার ফর্ম ভর্তির কথা ছিল। যাঁদের হাজিরা ৬০ শতাংশের কম, তাঁদের ফর্ম ভরতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। একটা বছর নষ্ট হবে বুঝেই শুরু হয় গোলমাল। কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। হুজ্জুতে পড়ে এ দিন বাকি পড়ুয়ারাও আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেননি।
কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়ম হল, হাজিরা ৬০ শতাংশের কম হলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। সে কথাই জানানো হয়েছিল। বঙ্কিম সর্দার কলেজে পাস ও অনার্স কোর্স মিলিয়ে তৃতীয় বর্ষের প্রায় ৬০০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে হাতে গোনা ২০-২৫ জন বাদে বাকিদের কারও হাজিরা ৬০ শতাংশ ছোঁয়নি। অনেকে সাকুল্যে ৫-৭ দিন ক্লাসে এসেছেন। বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়াদের এই অংশের গলার সুরই অবশ্য বেশি চড়া ছিল এ দিন। ওই ছাত্ররা অবশ্য তাঁদের বিক্ষোভের পক্ষে যুক্তিও খাড়া করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ক্লাস না করলে যে পরীক্ষা দেওয়া যায় না, তা আগে জানানো হয়নি। অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় এ দিন কলেজে আসেননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি। কলেজের শিক্ষিকা শুভ্রা বিশ্বাস বলেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy