বিমল গুরুঙ্গ।
মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় আপাতত স্বস্তির খবর মোর্চার জন্য। মামলার শুনানির সময়ে বিমল গুরুঙ্গ, আশা গুরুঙ্গ, রোশন গিরি-সহ শীর্ষ নেতাদের হাজির করতে না পেরে সিবিআই আবেদন করেছিল, সকলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হোক। কিন্তু কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক কুন্দনকুমার কুমাই তা খারিজ করে দেন। এই মামলায় ২২ জন অভিযুক্তের আর একটি আবেদনের সূত্রে তিনি জানান, অভিযুক্তদের বদলে তাঁদের কৌঁসুলিরা শুনানিতে হাজির থাকতে পারবেন।
বিচারক কুন্দনকুমার কুমাইয়ের নির্দেশের পরে বিমল, আশা বা রোশনের মতো শীর্ষ নেতাদের হাজিরা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রইল না বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা। স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি মোর্চা শিবিরে। কয়েক দিন ধরে মোর্চার প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে যাঁরা চুপ ছিলেন, তাঁরাও এ দিন মুখ খুলেছেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে এক শীর্ষ নেতা জানান, আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে দল। রোশনও বলেছেন, ‘‘আমরা চাই দ্রুত কেন্দ্র পাহাড়বাসীর আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে আলোচনা শুরু করুক।’’ রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাবেন না বলে ফের জানান তিনি। যদিও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব মনে করেন, সাংবিধানিক কাঠামো মেনে রাজ্যকে এড়িয়ে দার্জিলিং সমস্যা নিয়ে আলোচনা কখনও হতে পারে না।
মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলার চার্জশিটে বিমল, আশা-সহ মোর্চার সব প্রথম সারির নেতারই নাম রয়েছে। এমন ৪৮ জন অভিযুক্ত চার্জশিট থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক এ দিন জানান, এই আবেদনের শুনানি হবে ১ থেকে ৪ অগস্ট।
মামলাটি অন্যত্র সরাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন রোশন গিরি এবং পেম্বা ওলা। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিংহ খেহরের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রোশনদের আইনজীবীরা। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ৩১ জুলাই মামলার শুনানি হবে। মোর্চার যে নেতারা মদন হত্যা মামলার শুনানিতে হাজির থাকছেন, এ দিন তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। বিচারক বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy