Advertisement
০৭ মে ২০২৪

প্রদীপ-চালে লাভ দেখছে বিজেপি

জনসংযোগ জোরালো করতে নানা কর্মসূচির কথাও ভাবছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে দলের শক্তিবৃদ্ধির ডাক দিতে গিয়েই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বৈঠকে বলেছেন, তৃণমূল নেত্রীই তাঁদের এগোনোর পথ আরও সুগম করে দিয়েছেন! যার ফায়দা পঞ্চায়েতে তুলতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭ ১২:০০
Share: Save:

কংগ্রেস চায়নি। কিন্তু তৃণমূল আগ বাড়িয়ে রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থানে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে নিজেদের সুবিধাই দেখছে বিজেপি।

সাম্প্রতিক লোকসভা ও বিধানসভার দু’টি উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পরে আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে এখন নিশানা করেছে বিজেপি। পানিহাটির লোকসংস্কৃতি ভবনে রবিবার দলের রাজ্য কার্যকারিনী (এগ্‌জিকিউটিভ) বৈঠকে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফের দলীয় সহকর্মীদের বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ ধরে ঝাঁপাতে হবে। ব্লকে ব্লকে, পঞ্চায়েত স্তরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় স্তরে মানুষের পাশে থাকতে হবে। জনসংযোগ জোরালো করতে নানা কর্মসূচির কথাও ভাবছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে দলের শক্তিবৃদ্ধির ডাক দিতে গিয়েই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বৈঠকে বলেছেন, তৃণমূল নেত্রীই তাঁদের এগোনোর পথ আরও সুগম করে দিয়েছেন! যার ফায়দা পঞ্চায়েতে তুলতে হবে।

দলের অন্দরে রাহুলবাবুর যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনে কংগ্রেস সমর্থন দিতে চেয়েছিল সিপিএমকে। কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রার্থী না করে সিপিএম সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে। তার পরে কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যকে তৃণমূলের বাড়তি ভোট দিয়ে সাহায্য করার কথা বলেছেন মমতা। বিজেপি নেতার মতে, এর মানে তৃণমূল নেত্রী ভয় পেয়েছেন! তাই যেচে কংগ্রেসকে পাশে পেতে চাইছেন। বিজেপি কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে নেমেছে। এ রাজ্যেও কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে লোকজন বিজেপি-তে আসছে বলে দিলীপবাবুদের দাবি। বৈঠকে রাহুলবাবুর ঘোষণা, এর পরে সিপিএম-কংগ্রেস বিরোধীর মর্যাদা হারাবে এবং তৃণমূল-বিরোধী ভোট বিজেপি-র বাক্সেই আসবে।

রাজ্যসভায় প্রদীপবাবুকে তৃণমূল নেত্রীর সমর্থন দেওয়াকে ‘সুবিধাবাদ ও ধান্দাবাজি’ বলে অভিহিত করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে আসন ছা়ড়েনি। নিজেদের পাঁচ প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হওয়ার পরে বা়ড়তি ভোট কংগ্রেসকে দেওয়ার কথা বলা আসলে সুবিধাবাদ। সেই যুক্তিতেই এ বার নিজেদের কোলে ঝোল টানতে সচেষ্ট বিজেপি।

পঞ্চায়েতের আগে এলাকায় এলাকায় ক্লাবগুলির সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে বিজেপি-র যুব মোর্চা। মমতার কায়দায় ক্লাবকে পাশে পেতে উদ্যোগী তারাও। প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের যুব বিশ্বকাপের টিকিট দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে। যদিও এমন ভাবনায় প্রশ্ন রয়েছে বিজেপি-র অন্দরেই। দলের এক রাজ্য নেতার যুক্তি, ‘‘বিশ্বকাপের টিকিট দলের সম্পত্তি নাকি! সরকারি কোটার টিকিট তুলে এই কাজে লাগালে সেটা তো কেলেঙ্কারির পর্যায়ে পড়বে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE