Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মুকুলের ট্রেলারে স্বস্তি বিজেপিতে

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিংহ, শমীক ভট্টাচার্যেরা এ দিন মুকুলের ইনিংসে খুশি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৪
Share: Save:

মুকুল রায়কে দলে নেওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও দ্বিধাবিভক্ত ছিল বিজেপি। কিন্তু শুক্রবার ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জনসমাগমের বহর দেখে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, মুকুলকে নিয়ে দলের লাভই হয়েছে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের তিনটি লেনেই ঠাসা ভিড়ে ‘মূল বিজেপি’-র পাশাপাশি ‘মুকুল বিজেপি’-র অবদানও যে কম ছিল না, দলের অন্দরে তা মানছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, মুকুলের কাছেও চ্যালেঞ্জ ছিল, দল বদলের পর এ দিন প্রথম জনসভায় লোক টেনে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণ করা। সে কাজে তিনি সফল হয়েছেন।

তবে এ দিন বিজেপি-র সভায় দলের আদি কর্মীদের উপস্থিতিও ভালই ছিল। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের ব্যাখ্যা, যে হেতু, কর্মসূচিটি ছিল তৃণমূলের ‘তোষণ নীতি’র প্রতিবাদে, তাই মূল মতাদর্শগত অবস্থান থেকেই গেরুয়া শিবিরের আদি কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। তা ছাড়া, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুকুল কী বলেন, সেটা জানার আগ্রহও তাঁদের ছিল।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিংহ, শমীক ভট্টাচার্যেরা এ দিন মুকুলের ইনিংসে খুশি। মুকুল এ দিন একটি ফাইল দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু অভিযোগ তোলেন। তার পরই বলেন, ‘‘ফাইলের প্রথম ভাগ আজ হল। এর পর যে দিন এক লক্ষ লোকের সমাবেশ হবে, সে দিন হবে দ্বিতীয় ভাগ।’’ দিলীপবাবুও বলেন, ‘‘ইয়ে তো পহেলা ঝাঁকি হ্যায়। ফিল্ম আভি বাকি হ্যায়!’’ কৈলাস দাবি করেন, তৃণমূলের আরও অনেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু তাঁরা বেছে বেছে মুকুলের মতো ‘সৎ’, ‘কর্মদক্ষ’ লোককেই নেবেন। রাহুল জানান, মুকুলের বিজেপি-তে যোগদানের জবাবে তৃণমূল এবং এক দল ষড়যন্ত্রকারী তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। রাহুলের কথায়, ‘‘বলা হচ্ছে, আমি নাকি তৃণমূলে যাওয়ার জন্য ওই দলের এক জনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এর জন্য আমি একটি ওয়েব পোর্টালের বিরুদ্ধে জোড়াসাঁকো থানায় এফআইআর করেছি।’’

প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অনুপ ঘোষালের মেয়ে অনুপমা ঘোষাল, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি, ওই দলের জয়দেব মান্না, পার্থসারথি পাত্র, প্রীতম দত্ত, সাঁইথিয়া পুরসভার এক কাউন্সিলর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ এ দিন বিজেপি-তে যোগ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE