সাত-আট ঘণ্টার অস্ত্রোপচার। খরচ পাঁচ-ছ’ লাখ টাকা বা তারও বেশি। অনেকটা অংশ কেটে অস্ত্রোপচার হওয়ায় সেরে উঠতেও সময় লাগে বেশ কিছু দিন। রক্তক্ষরণ, হাসপাতালবাসের মেয়াদ সবটাই দীর্ঘ। ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে তাই ল্যাপারোস্কোপিক অস্ত্রোপচারের দিকেই ঝুঁকছেন বহু চিকিৎসক। এ বার সরকারি পরিকাঠামোয় ক্যানসার রোগীদের অস্ত্রোপচার শুরু হল কলকাতায়। প্রাথমিক ভাবে এসএসকেএম হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারগুলি শুরু হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে সরকারি হাসপাতালে ক্যানসার রোগীদের জন্য এমন পরিষেবা এটাই প্রথম বলে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি।
এসএসকেএমের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোলন, মলদ্বার, পাকস্থলী, খাদ্যনালী প্রভৃতি ক্যানসারে ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে সার্জারিগুলি হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সাফল্যের হার খুবই ভাল। শল্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘এর জন্য পরিকাঠামো বেশি বাড়াতে হয়নি। যে ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ হত, সেগুলিকেই যথাযথ ভাবে কাজে লাগিয়ে এবং চিকিৎসকদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা কাজটা শুরু করতে পেরেছি। সব ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি সম্ভব হয় না। কিন্তু যে যে ক্ষেত্রে হয়, সেগুলিতে আমরা পুরোমাত্রায় এই পরিষেবার সুযোগ দিতে চাই রোগীদের।’’
ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি চালুর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্য শল্য চিকিৎসেকরাও। ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেহেতু কাটাছেঁড়া ও রক্তক্ষরণ কম হয়, তাই ক্যানসার রোগীদের জীবনের মান উন্নত রাখার ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। দেশের বিভিন্ন বড় ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শল্য চিকিৎসকদের দক্ষতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য এ দিক-ও দিক হলে চিকিৎসার ফল সঠিক নাও মিলতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy