পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে জেরা করার সিবিআইয়ের আর্জি বহাল রাখল আদালত। গত সপ্তাহে আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক সৌগত রায়চৌধুরীর এজলাসে মদন মিত্রকে জেরার আবেদন করেছিল সিবিআই।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষের শুনানির পরই বিচারক মদনবাবুকে জেরা করার বিষয়টি বিবেচনা করেন। মঙ্গলবার তদন্তকারী অফিসার ফনিভূষণ করণের উপস্থিতিতে আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে মদনবাবুকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সারদা রিয়েলিটি মামলায় এখনও তদন্ত চলছে। সেই কারণে মদনবাবুকে জেরার প্রয়োজন রয়েছে।’’ মদনবাবুর আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেরার সময়ে তাঁর এক আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। এবং জেরার নিদিষ্ট দিন সিবিআই উল্লেখ করুক।’’
দু’পক্ষের সওয়ালের পর বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ফনিভূষণ করণকে জিজ্ঞেস করেন, কত দিন জেরার জন্য প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘চলতি সপ্তাহেই মদনবাবুকে জেরা করা হবে। তারপর বিচারক মদনবাবুকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে সাত দিন সময় দিয়েছেন। জেরার সময় কিছু ক্ষণ আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু পুরো সময় নয় বলে মদনবাবুর আইনজীবীদের জানিয়ে দিয়েছেন বিচারক।
গত ১২ ডিসেম্বর মদনবাবুকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক দিন আলিপুর সংশোধনাগারে থাকার পর মদনবাবু এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে রয়েছেন। সম্প্রতি আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মদনবাবুর জেল হেফাজতের বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল সিবিআই। আদালতের নির্দেশে আলিপুর সংশোধনাগারের তরফে ওই রিপোর্ট সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
মদনবাবুকে উডবার্ন ওয়ার্ডে গিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, সম্প্রতি সারদা কাণ্ডের তদন্তে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ওই বিষয়ে মদনবাবুকে ফের জেরা করার প্রয়োজন হয়েছে। তা ছাড়া সম্প্রতি সিবিআই আর এক অর্থলগ্নিকারী সংস্থা রোজভ্যালির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে। ওই বিষয়েও মদনবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কয়েকটি ক্ষেত্রে রোজভ্যালির অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গেও মদনবাবুর যোগ পাওয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy