Advertisement
১১ মে ২০২৪

মাতঙ্গ, রমেশের মুখোমুখি সুদীপ্ত

সব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বুধবার বাঘা যতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করল সিবিআই।

মাতঙ্গ সিংহ ও সুদাীপ্ত সেন।

মাতঙ্গ সিংহ ও সুদাীপ্ত সেন।

শুভাশিস ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২১
Share: Save:

সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তাঁরা তিন জনেই। তিন জনের মধ্যে এক জনের অভিযোগ আবার বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে।

সেই সব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বুধবার বাঘা যতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করল সিবিআই। ওই তিন জন হলেন সারদার কর্ণধার তথা ওই লগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন এবং অন্য দুই অভিযুক্ত রমেশ গাঁধী আর মাতঙ্গ সিংহ।

লিভারের সমস্যায় মাতঙ্গ হাসপাতালে আছেন। রমেশ আলিপুর জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুদীপ্ত আছেন জেলে। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার জন্য আলিপুর ও ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন করেছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই আবেদন মঞ্জুর হলেও মাতঙ্গকে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি ছিল চিকিৎসকদের। তবে জেরায় তাঁদের আপত্তি ছিল না।

সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী জানান, একটি সংবাদ পরিবেশন সংস্থা তৈরির জন্য মাতঙ্গ, তাঁর স্ত্রী মনোরঞ্জনা সিংহ আর রমেশ কোটি কোটি টাকা নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ সুদীপ্তের। অভিযোগ, ওই তিন জন টাকা নিলেও চুক্তি অনুযায়ী কাজ করেননি। জেরার মুখে সুদীপ্তের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাতঙ্গেরা।

মাতঙ্গের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই এ দিন সুদীপ্ত ও রমেশকে বাঘা যতীনের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুদীপ্তের সঙ্গে মনোরঞ্জনা, মাতঙ্গ ও রমেশের চুক্তি সইয়ের সময়ে মধ্যস্থ হিসেবে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি হাজির ছিলেন কি না, সেই বিষয়ে খোঁজখবর চলছে। পরে সুদীপ্তকে সব অভিযুক্তেরই মুখোমুখি বসাতে চান তদন্তকারীরা। সারদা মামলায় ধৃতদের অধিকাংশই এখন জামিনে মুক্ত। প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিয়ে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সুদীপ্তের মুখোমুখি বসিয়ে আবার তাঁদের জেরা করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE