Advertisement
০২ মে ২০২৪

আরও আধাসেনা কেন, প্রশ্ন কেন্দ্রের

পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও চার কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য। তাতে নীতিগত আপত্তি নেই কেন্দ্রেরও। কিন্তু কেন রাজ্য বাড়তি বাহিনী চাইছে, তা স্পষ্ট বুঝে নিতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

\

\

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০৩:৩৮
Share: Save:

পাহাড়ে এখন রয়েছে ছয় কলাম সেনা আর ১০ কোম্পানি আধাসেনা। গোলমাল শুরুর দিনেই যা পাঠিয়ে দিয়েছিল দিল্লি। এর পরেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও চার কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য। তাতে নীতিগত আপত্তি নেই কেন্দ্রেরও। কিন্তু কেন রাজ্য বাড়তি বাহিনী চাইছে, তা স্পষ্ট বুঝে নিতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

সেই কারণে দার্জিলিং নিয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নর্থ ব্লক। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তা পাঠায়‌নি নবান্ন। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘বাড়তি বাহিনীর সঙ্গে স্ট্যাটাস রিপোর্টের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না। তবু কেন্দ্রকে আজ-কালের মধ্যে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’ যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘সব রাজ্যেই আধাসেনার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ না করে তো আর আধাসেনা পাঠানো যায় না।’’

নিয়ম নীতির বিচারে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বেচাল কিছু নেই। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, পাহাড় নিয়ে প্যাঁচে পড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে ‘নিরাপত্তা সহায়তা’ চাওয়ার দলিল রেখে দিতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যাতে পরে কোনও দিন দার্জিলিঙে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের কথা উঠলে দিল্লি পাল্টা জবাব দিতে পারে।

আসলে রাজনৈতিক ভাবেই গোর্খার পাশে দাঁড়ানোর দায় রয়েছে বিজেপির। প্রায় গত এক দশক ধরে গোর্খারা এনডিএ-র শরিক। বিজেপির দলীয় ইস্তাহারেও গোর্খাদের আবেগকে সমর্থনের কথা বলা হয়েছিল। গোর্খাদের সমর্থনেই দার্জিলিং আসনে জিতে এসেছেন সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। বৃহস্পতিবার গোর্খা নেতা রোশন গিরিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রের সুর বদলের নেপথ্যে কি ওই বৈঠকই! মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, আধাসেনা পাঠানোর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাই নিয়ে থাকেন।

মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, কলকাতায় বাবরি মসজিদ পরবর্তী দাঙ্গা পরিস্থিতিতে সেনা তলব করা হয়েছিল। এর পর কয়েক ঘণ্টার জন্য সেনা নেমেছিল তসলিমা নাসরিন বিরোধী একটি আন্দোলন মোকাবিলায়। তার পর গত ৮ জুন পাহাড়ে সেনা নেমেছে। ওই কর্তার কথায়, ‘‘যে রাজ্যে আট দিন টানা সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রয়েছে সেখানে পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া অন্যায় নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE