—ফাইল চিত্র
ফের আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে তরাই-ডুয়ার্সের আকাশে। সৌজন্য, উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকা মৌসুমি অক্ষরেখা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই অক্ষরেখার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা জোর পেয়েছে। তার ফলে আগামী ক’দিন দার্জিলিং পাহাড় এবং তরাই-ডুয়ার্সের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অগস্ট মাসেই বানভাসি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। তার জেরে জনজীবন বা রেল যোগাযোগ এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ফের প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে— তা নিয়ে প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বিহারে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার ফলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ, রবিবারও কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূমে ব়ৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বস্তুত, শুক্রবার প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল কলকাতার বহু এলাকা। শনিবারও এক পশলা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, এমন মেঘভাঙা বৃষ্টি হচ্ছে কেন?
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। দিনের বেলা রোদ চড়তেই গরমে সেই জলীয় বাষ্প আরও গরম হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে উঠছে এবং ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি করছে। সেই মেঘ অল্প এলাকার উপরে ভেঙে পড়ায় এমন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে কলকাতার উপরে তৈরি হওয়া মেঘটির উচ্চতা ছিল প্রায় ১২ কিলোমিটার।
সঞ্জীববাবুর ব্যাখ্যা, সেপ্টেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, বর্ষা এ বার ধীরে ধীরে তল্পিতল্পা গুটোবে। এই সময়ে আকাশ সারাক্ষণ মেঘলা থাকে না। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্পের জোগান থাকে। ফলে রোদের গরমে স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়। এবং তা থেকে এক একটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়। ঠিক যেমন এখন হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy