সপ্তাহ দু’য়েকের বেশিই গড়িয়ে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ে গুলিতে তিন জনের মৃত্যু ও হিংসার তদন্ত ঠিক মতো শুরুই করতে পারল না সিআইডি।
মাস খানেক আগে ১৭ জুন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সিংমারি-সহ দার্জিলিঙের বহু এলাকা। গুলিতে মারা গিয়েছিলেন তিন জন। তার দশ দিনের মাথায় ২৭ জুন সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের একটি দলও দার্জিলিঙে পৌঁছেছে। কিন্তু গোয়েন্দা কর্তাদের একাংশেরই বক্তব্য, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়নি। ওই দিন ঘটনাস্থলে কোন পুলিশকর্মীরা ডিউটিতে ছিলেন, তার পুরো তালিকাও তদন্তকারীদের হাতে নেই। শুধু দার্জিলিং জেলা পুলিশের তরফে সে দিন ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাই সিআইডি-র একাংশেরই দাবি, তদন্তের প্রাথমিক কাজটাই এখনও শুরু হয়নি।
গোয়েন্দা কর্তাদের একাংশের তাই আশঙ্কা, ঘটনার পরে মাস খানেক কেটে যাওয়ায় তদন্তে কাজে লাগবে এমন অনেক নমুনাই ইতিমধ্যে নষ্টও হয়ে যেতে বসেছে। যেমন, সিআইডি সূত্রের খবর, সিংমারি, লেবং রোড সহ বিভিন্ন ঘটনাস্থল ঘুরে পুলিশ ফাঁড়ি, পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও একাধিক বাড়িতে বেশ কিছু ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মনে হয়েছে, সেগুলি বন্দুকের গুলির দাগ। কিন্তু সেগুলো কী ধরনের গুলি, তা জানতে ওই নমুনা সংগ্রহ করা দরকার ছিল। যা করা হয়নি।
কেন সিআইডি-র তদন্তকারী দল নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি? সিআইডি সূত্র জানাচ্ছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে পাহাড়ে বন্ধ চলছে। মোর্চাও তদন্তে অসহযোগিতা করছে।
সিংমারির ওই ঘটনা ছাড়াও ৮ জুন ভানুভবনে হাঙ্গামার তদন্তের দায়িত্বও সিআইডি-র। ৮ জুলাই সোনাদা এবং চকবাজারে গুলি এবং হাঙ্গামার ঘটনার তদন্তভারও সিআইডির হাতে। ভবানীভবন সূত্রের দাবি, সিংমারি এবং ভানুভবনের ঘটনার তদন্ত করছেন সিআইডির হোমিসাইড শাখার অফিসারেরা। বাকি দু’টি ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডির স্থানীয় দল। জুন মাসের দু’টি ঘটনার তদন্তের জন্য সিআইডি-র একটি দল দার্জিলিঙে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। কথা বলেন পুলিশের কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গেও। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে দলটি। সিআইডি-র ওই গোয়েন্দারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও পাননি বলে গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ফৌজদারি মামলায় নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসেবে সাধারণ মানুষ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও সহযোগিতা দরকার। কিন্তু তা না হওয়ায়, চিন্তায় গোয়েন্দা কর্তারা। সিআইডি কর্তাদের বক্তব্য, আরও ক’দিন অপেক্ষা করতে হবে। তার পরেও তদন্তে গতি না এলে আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য নেবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy