তদারকি: ‘মাটি মেলা’ চত্বরে কাজ কেমন চলছে, তা দেখতে নেতা, মন্ত্রীরা। ছবি: উদিত সিংহ।
মূল মঞ্চের পিছনে মুখ্যমন্ত্রী হাসিমুখে, ছবিটা নেই কেন, প্রশ্ন মন্ত্রী মলয় ঘটকের। অন্য দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বপন দেবনাথের পরামর্শ, ‘ছবির নীচে তাঁর ‘মাটি’ কবিতাটি থাকলে বেশ হয়।’— জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু হাঁক পাড়লেন, মূল মঞ্চের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) প্রণব বিশ্বাস কোথায়। প্রণববাবুর মোবাইল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-বাছাই করলেন মন্ত্রীরা। ‘ওই ছবি মঞ্চে থাকবে’, আশ্বাস দিলেন প্রণববাবু।
— কালনা রোডে বর্ধমান কৃষি খামারের ভিতরে ‘মাটি মেলা’ প্রাঙ্গণ। মঙ্গলবার এর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলা শুরুর আগে সেখানে প্রশাসনের কর্তা, নেতা, মন্ত্রীদের প্রস্তুতির মেজাজ এমনটাই।
মেলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা চলছে মেলার ‘মাঠ-ভর্তি’ করা নিয়েও। কৃষক-সম্মানজ্ঞাপন মঞ্চ থেকে খানিক দূরে দাঁড়িয়ে মলয়বাবুর মন্তব্য, ‘‘গতবারের মতো শেষ মুহূর্তে মাঠ ভর্তি হবে না তো? এ বার মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই কিন্তু মাঠ ভর্তি হওয়া দরকার।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপনবাবুর আশ্বাস, ‘‘বৈঠক করে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ মহকুমার বিধায়ক, নেতাদের মাঠ-ভর্তি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ কাটোয়া-কালনা থেকেও লোক আসবেন, মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করলেন মন্ত্রী।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে ‘মাটি মেলা’ প্রাঙ্গণে হাজির হবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য মঞ্চের অদূরে তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড। সেখান থেকে মূলমঞ্চ পর্যন্ত পথটিও সাজানো হয়েছে। পড়েছে রঙের পোচ।
মেলার প্রস্তুতি দেখতে শনিবার ওই তিন মন্ত্রী এবং দেবুবাবু আসেন। কয়েক একর জুড়ে থাকা মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তাঁরা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মাঠের এক পাশে নানা রকম ফসল রোপণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের স্টলগুলিও পরিদর্শন করেন মন্ত্রীরা। পরিদর্শনের ফাঁকেই কৃষিমন্ত্রী আশিসবাবু বলেন, “এই পরিকাঠামোটিকে বছরভর কাজে লাগানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা ঠিক করেছি, এখানে নানা দফতরের প্রশিক্ষণ শিবির করা হবে।’’ মেলার শেষ দিন, ৮ ডিসেম্বর প্রতিটি দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক করে প্রশিক্ষণ-ক্যালেন্ডার তৈরির কথাও জানান আশিসবাবু।
২০১৫ থেকে এই মাঠে নানা সরকারি দফতরের সমন্বয়ে ‘মাটি মেলা’ হচ্ছে। মেলার সময়ে কৃষি দফতর ছাড়াও সরকারের অন্যান্য দফতর সারা বছর কী কাজ করেছে, সামনের দিনে কী করবে—তা নিয়ে মানুষজনকে সচেতন করে তোলা হয়। কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, “আমরা সারা বছর বিভিন্ন প্রজাতির ধান উৎপাদন করি। সেই সব ধান মেলায় সবার সামনে তুলে ধরা হয়।” গত বারের মতো এ বছরেও মেলায় ১১৬টি স্টল থাকছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy