ফাইল চিত্র।
অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল চায় না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চিরাচরিত রাজনৈতিক ছাত্র সংসদের দাবিতেই মঙ্গলবার সেখানে বিক্ষোভ-অবস্থান করেন পড়ুয়াদের একাংশ। প্রথমে ধর্না শুরু করে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞানের ছাত্র সংসদ যোগ দেয়।
সেন্ট জেভিয়ার্সের মডেলে চলতি শিক্ষাবর্ষেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। তার বিরোধিতায় এ দিন পড়ুয়ারা উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। সন্ধ্যায় উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে পূর্ব নির্ধারিত একটি বৈঠকে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়। বৈঠক সেরে ফিরে আসেন উপাচার্য। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ অবস্থান ওঠে। উপাচার্য জানান, ১৫ জানুয়ারি কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে।
পড়ুয়াদের দাবি, এই বিষয়ে আইন সংশোধনের পরে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করুন। এ বিষয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ৭ জুন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা ওই বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি জানতেন না। উপাচার্য তাঁদের বলেছেন, যে-কেউ গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। পড়ুয়ারা চান, চ্যালেঞ্জটা জানান উপাচার্যই। এ দিন উপাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘গোটাটাই সরকারি সিদ্ধান্ত। আমার কোনও হাত নেই।’’
অগস্টে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু হয় যাদবপুরে। পড়ুয়াদের একাংশ উপাচার্যকে প্রায় দেড় দিন ঘেরাও করে রাখেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তার উপরে ছাত্রভোট আদৌ হবে কি না, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পরে মন্ত্রী জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে ছাত্রভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। তবে সেই সময়ে ছাত্রভোট করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে শিক্ষা মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy