রোগীর সঙ্গীরা যখন-তখন হামলা চালাচ্ছে। মারধর করছে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন ডাক্তারেরা। আবেদন-নিবেদনে কাজ হচ্ছে না। তাই কর্মস্থলে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দাবিতে শুক্রবার চিকিৎসকেরা দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ-অনশন করেন। বিকেলে সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস আসায় অনশন-আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়।
শুক্রবার বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম, ডক্টর্স ফর পেশেন্ট, মেডিক্যাল সার্ভিস-সহ সাতটি চিকিৎসক সংগঠন অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। এক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসক-নিগ্রহ চলা সত্ত্বেও প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা না-নেওয়ায় এ দিন আন্দোলন শুরু হয়। কয়েক জন চিকিৎসক অনশনেও বসেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সরকার তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেই আগ্রহী নয়। তাই তাঁরা পথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছেন।
দিনভর ধর্না-বিক্ষোভ-অনশনের পরে সরকারের তরফে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, চিকিৎসক-নিগ্রহের মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না-হয়, সে-দিকে যথাযথ নজর রাখারও বন্দোবস্ত হবে।
মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে চিকিৎসকেরা অনশন তুলে নিয়েছেন বলে জানান ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের নেতা অর্জুন দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার সৌজন্য দেখিয়েছে। তাই আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হচ্ছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সরকার প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হলে ফের আন্দোলনে নামব।’’ চিকিৎসকদের অন্য সংগঠন ডক্টর্স ফর পেশেন্টের নেতা চিকিৎসক শারদ্বত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসক এবং অন্য সব কর্মীর সুরক্ষার সুনিশ্চিত করার আশ্বাস পেয়েছি। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy