প্রতীকী ছবি।
পাঁচ-দশ-পঞ্চাশ নয়। ২৩১টি জাল দু’হাজার টাকার নোট। গত ৪ জানুয়ারি মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ওই জাল নোট-সহ গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা জাল নোট উদ্ধারে রুজু হওয়া ওই মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে আসছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। সেটা হলে পুরনো নোট বাতিল হওয়ার পর এটাই পশ্চিমবঙ্গে রুজু হওয়া জাল নোট সংক্রান্ত প্রথম কোনও মামলা, যার তদন্তভার নেবে এনআইএ।
পুলিশের খবর, বৃহস্পতিবার বৈষ্ণবনগরের পিটিএস মোড় থেকে উদ্ধার হওয়া এই জাল নোট এত উন্নত মানের যে আসল নোটের সঙ্গে ফারাক খুঁজে পাওয়া ভার। এই ঘটনায় কালিয়াচক এলাকার শাহবাজপুরের সন্তোষ মণ্ডল ও পিণ্টু মণ্ডলকে জাল নোট-সহ পাকড়াও করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন এনআইএ-র অফিসাররা।
পুরনো হাজার ও পাঁচশো টাকার নোট বাতিল করে বাজারে নতুন দু’হাজার ও পাঁচশো টাকার নোট আনার অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল জাল নোটের কারবার রুখে দেওয়া। কিন্তু জাল নোটের কারবারিরা এ বারেও অপ্রতিরোধ্য। প্রথমে রঙিন ফোটোকপির যন্ত্র ও অফসেট মেশিন, পরে নোট ছাপার মেশিনে উন্নতমানের কাগজে জাল টাকা ছাপা হচ্ছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা।
পাকিস্তানের করাচির টাঁকশালে ভারতীয় টাকার জাল নোট ছাপা হয়ে তা বাংলাদেশ হয়ে মালদহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে— এটাই ছিল ভারতীয় গোয়েন্দারের সনাতন দাবি। এখন তাঁদের একাংশের মত, সম্ভবত বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছোট টাঁকশাল বসিয়ে জাল ভারতীয় নোট ছাপা হচ্ছে। সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে মালদহের কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর এলাকা থেকে প্রায় ১২ লক্ষ জাল টাকা উদ্ধার হয়েছে। সবই দু’হাজারের নোট। এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা অফিসারের কথায়, ‘‘জাল নোটগুলি একই সিরিজের ও একই মানের।’’
জাল টাকা দমনে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ টাস্ক ফোর্স-এর চতুর্থ বৈঠক ডিসেম্বরে বসেছিল ঢাকা। সেখানে ঢাকার দাবি ছিল, জাল ভারতীয় নোট আসে অন্য দেশ থেকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক অফিসার অবশ্য বলছেন, ‘‘সম্প্রতি যত জাল নোট মালদহে উদ্ধার হয়েছে, সবই টাঁকশালে ছাপানো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy