হাজিরা: জি়জ্ঞাসাবাদের পর ইডি অফিসে ববি হাকিম। বুধবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
জানিয়েছিলেন, ব্যস্ততার জন্য আসতে পারবেন না। কিন্তু, বুধবার সকালে আচমকা ইডি-র কাছে হাজিরা দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ ওরফে ববি হাকিম। তিনিই প্রথম মন্ত্রী যিনি ইডি-র ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা করলেন। আজ, বৃহস্পতিবার ইডি-তে হাজিরা দেওয়ার কথা রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
এ দিন দুপুর দু’টোর একটু পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে ঢোকেন ববি। নারদ কাণ্ডে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন। ববির বয়ানে অবশ্য সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। ববি দাবি করেছেন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবের জন্য তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন। সরাসরি নিজে টাকা নেননি। ক্লাবের এক সদস্যকে ফোনে ডেকে আনেন। ক্লাবের সেই সদস্যই ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নেন। সেই সময়ে সামনে ছিলেন রাজ্যের আর এক তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদও। তদন্তকারীদের দাবি, ভিডিওতে কোথাও এমন কোনও কথোপকথন নেই, যা থেকে মনে হয় টাকাটা ক্লাবের জন্য নেওয়া হয়েছে। এই কথাবার্তার সময়ে আচমকাই ববিকে নারদ কাণ্ডের ভিডিওটি চালিয়ে দেখানো হয়।
ববির যুক্তি, আগের দিন রাতে তাঁর সঙ্গে ইকবালের কথা হয়। তখনই ঠিক হয় তিনি ক্লাবের জন্য ওই টাকা নেবেন। কেন অপরিচিত এক জনের কাছ থেকে ক্লাবের জন্য ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হল, সে প্রশ্ন তুলেছে ইডি। ওই বছর ক্লাবের হিসেবে ওই টাকা দেখানো হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও করা হয়। কেন নারদ কর্তাকে রসিদ দেওয়া হল না, তারও জবাব মেলেনি। সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে ববি বলেন, ‘‘জীবনে কোনও অনৈতিক কাজ করিনি!’’ তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
আচমকা কেন এলেন এ দিন? তৃণমূল সূত্রের খবর— প্রাক্তন বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপালের মৃত্যুতে এ দিন মাত্র এক ঘণ্টার জন্য বিধানসভা বসে। তাই এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ইডি অফিসে আসেন তিনি। ববি বেরনোর আধঘণ্টা আগে সল্টলেকের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে দেখা যায় ইডি অফিসে ঢুকতে। পরে তিনি বেরিয়ে যান। তবে, তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, মন্ত্রীরা যে ভাবে ইডি-র সমন এড়িয়ে যাচ্ছেন তাতে শীর্ষ নেতৃত্বের সায় নেই। এক নেতার কথায়, ‘‘যেতে তো এক দিন হবেই। মিটিয়ে ফেললেই ভাল।’’ বৃহস্পতিবার শোভনও হাজির থাকতে পারেন বলে খবর। শুক্রবার ইডি ডেকে পাঠিয়েছে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy