বইমেলায় দমকল কর্মীরা। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।
বইমেলায় ফের আগুন। উত্স এবারও সেই খাবারের দোকান। কয়েকদিন আগে এ ভাবেই খাবারের দোকান থেকে আগুন লেগেছিল কলকাতা বইমেলায়। এ বার অবশ্য স্থান, আগরতলা বইমেলা।
সোমবার দুপুরে উমাকান্ত অ্যাকাডেমির মাঠে বইমেলা চত্ত্বরের একটি খাবারের দোকানে আগুন লাগে। তখনও বইমেলায় বেশির ভাগ দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। মাঠে লোকজনও ছিল কম। কলকাতা থেকে আসা প্রকাশক অধীর বিশ্বাস তখন তাঁর স্টল খুলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘একটা পোড়া গন্ধ পেয়ে আমরা তত্পর হয়ে উঠি।’’ ততক্ষণে চলে আসেন উদ্যোক্তারাও। অধীরবাবু জানান, মেলার উদ্যোক্তা-কর্মীরা আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দ্রুত দমকলও অকুস্থলে চলে আসে। ফলে আগুন আর ছড়াতে পারেনি।
ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিসের অফিসার কুন্তল দেববর্মা জানান: খাবারের দোকানটিতে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির উপরে একটি পাত্রে ভাজার জন্য তেল ছিল। চুল্লির সুইচ অন করাই ছিল। যদিও কাল রাতে মেলা শেষ হওয়ার পর বইমেলার বিদ্যুত্ সংযোগ নিয়মমতো কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু আজ দুপুরে যথারীতি বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়া হয়। ফলে দোকানদারের অলক্ষ্যেই ওই মেশিন চালু হয়ে যায়। তেল গরম হতে হতে তা থেকেই আগুন ধরে। চুল্লিটিও ফেটে যায়। দোকানের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল-কর্তা কুন্তলবাবু বলেন, ‘‘মেলায় এ ধরণের চুল্লি ব্যবহার যাতে না করা হয় তার জন্য আমরা আগেই উদ্যোক্তাদের বলেছিলাম। আমাদের কথা শোনা হয়নি।’’ তিনি বলেন, এই আগুন সন্ধায় বা রাতে লাগলে ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারত। দোকান মালিক বিপ্লব কর্মকার দাবি করেন, ‘‘বেলা দুটোর সময় বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়ার কথা। চুল্লিটি গরম হতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় নেয়।’’ ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজও বেলা দুটোয় মেলায় বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়া হয়।’’
আগরতলা বইমেলার আয়োজক, ত্রিপুরার তথ্য দফতরের ডিরেক্টর শান্তনু দেববর্মা বলেন, ‘‘সরকারি নিয়মকানুন মেনেই এ মেলা হয়। মেলায় কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থ বা গ্যাসের চুল্লি ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। যদিও এবারই ‘ইনডাকশন ওভেন’ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।’’ আর ওই ওভেন থেকেই বিপত্তি। ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক শুভব্রত দেব বলেন, ‘‘বই ও খাবারের দোকানগুলির মধ্যে আমরা অনেকখানি খোলা জমি রাখি। তাছাড়া মেলার মাঠে যাতে প্রয়োজনে দমকলের গাড়ি অনায়াসে ঢুকতে পারে তার ব্যবস্থাও রাখা হয়। সে কারণেই আজ বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy