এ যেন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে!
এক জনের ইঞ্জেকশন চেপে বসল অন্যের গায়ে! সৌজন্যে পদবী বিভ্রাট।
এক জনের নাম বিদ্যুৎ সরকার। এবং অন্য জন সুবীর সরকার। বুকে ব্যথা নিয়ে ইসিজি করাতে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎবাবু। আর পশুর কামড়ে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে একই প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে অ্যান্টি র্যাবিস ইঞ্জেকশন নিতে গিয়েছিলেন সুবীরবাবু। ইসিজি-র বদলে সুবীর সরকারের সেই অ্যান্টি র্যাবিস ইঞ্জেকশনটা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বিদ্যুৎবাবু। হুঁশ ফেরার পরে ওই প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিদ্যুৎবাবুর অভিযোগ, কিছু একটা ভুল হচ্ছে বুঝে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু কেউই তাঁর কথা শোনেননি। জোর করে সূচ ফুঁটিয়ে দেন। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদহের একটি প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ওই প্যাথলজিক্যাল সেন্টারটি চলছে। ঘটনার দিন দুপুরে চিকিৎসকের কথামতো সেখানে ইসিজি করাতে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎবাবু। সেখানে তাঁকে এই ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।
তাঁদের তরফে চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের কর্তারা। তাঁদের দাবি, বিদ্যুৎবাবুই নিজের নাম শুনতে ভুল করেছেন। তার জেরেই এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: ভোটার প্রতি ৪০০০ টাকা করে ঘুষ! স্থগিত হয়ে যেতে পারে নির্বাচন
কী রকম?
ওই সেন্টারের এক কর্তা মলয় দাস বলেন, ‘‘ওই সময়ে সেন্টারের ওয়েটিং রুমে বিদ্যুৎবাবু এবং সুবীরবাবু দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন। সেন্টারের নিয়ম অনুযায়ী, ওয়েটিং রুমে গিয়ে এক এক করে রোগীদের নাম ধরে ডাকা হয়। সেই অনুযায়ী তাঁদের নির্দিষ্ট ঘরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সুবীরবাবুর নামটাই আগে ডাকা হয়। কিন্তু দু’জনেরই পদবী সরকার হওয়াতেই বিদ্যুৎবাবু ভুল করে সুবীরবাবুর জায়গায় চলে যান। ফলে সুবীরবাবুর চিকিৎসাটা তাঁর উপরে প্রয়োগ করা হয়।’’
কিন্তু ইসিজি-র ক্ষেত্রে যে ছুঁচ ফোটানোর প্রয়োজন হয় না তা কি জানতেন না বিদ্যুৎবাবু? তিনি তখনই কোনও প্রতিবাদ করলেন না কেন?
এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তবে এই নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy