সাইকেল নেই, বইয়ের ব্যাগ নেই। নেই পায়ে চটি। জামাকাপড় কাদায় মাখামাখি। চেহারায় আতঙ্ক।
টিউশন নিয়ে ফেরা, বছর ষোলোর মেয়ের এমন বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্দেহ দানা বেঁধেছিল বাবা-মায়ের। রাতে মেয়ে বাবাকে বলে, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল গাইঘাটার হোড়পাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী।
ঘটনার নেপথ্যে কিশোরীর পরিবারের লোকজন দুষেছেন তারই এক বন্ধুকে। কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে রবিবার পুলিশ পাশের ময়না গ্রামের বছর উনিশের এক তরুণকে বনগাঁর কালুপুর থেকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, জেরায় অভিযোগ অস্বীকার করে ছেলেটি দাবি করেছে, সাড়ে তিন বছর ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দু’জনে পরিকল্পনা করেই একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে যান। একই সঙ্গে সে পুলিশকে জানিয়েছে, আগেও বারকয়েক তারা ওই ঘরে গিয়েছিলেন। ওই দিন এক বন্ধু বাইরে থেকে ঘরের ছিটকিনি তুলে দেওয়ায় কিশোরী ভয় পেয়ে যায়। আর এক বন্ধু ছিটকিনি খুলে দেওয়া মাত্র কিশোরী দৌড়ে বেরিয়ে যায়।
মেয়ের সঙ্গে ওই তরুণের সম্পর্কের কথা মানেননি কিশোরীর বাড়ির লোক। তার মা বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে মেয়ে জানিয়েছিল কয়েকটা ছেলে তাকে রাস্তায় উত্যক্ত করে। তাকে আর বাঁচতে দেবে না। ওই ছেলেটার কথাও ও বলেছিল।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী এবং ধৃত তরুণ একই স্কুলের পড়ুয়া। শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ টিউশন থেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে। স্নান-খাওয়া সেরে নিজের ঘরে চলে যায়। শনিবার সকালে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন মা। কিশোরীকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই শনিবার বিকেলে সে মারা যায়। কিশোরীর মা বলেন, ‘‘দোষীর যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy