Advertisement
০৬ মে ২০২৪

ফের দাবি গোর্খাল্যান্ডের, পাহাড়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধের ডাক মোর্চার

মোর্চার এই বন্‌ধ কর্মসূচিকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘এটা হঠকারী সিদ্ধান্ত। পাহাড়বাসী বন্‌ধকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না। মানুষ যাতে বন্‌ধকে ব্যর্থ করে রাস্তায় নামে, সেই আহ্বান জানানো হবে।

বিমল গুরুঙ্গ। ফাইল চিত্র।

বিমল গুরুঙ্গ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ১৮:৩০
Share: Save:

ফের আস্তিন থেকে গোর্খাল্যান্ডের তাস বের করল মোর্চা। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখে এ বার অনির্দিষ্ট কাল পাহাড় বন্‌ধের ডাক দিল তারা। তৃণমূল যদিও মোর্চার এই সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ বলে মন্তব্য করেছে।

শনিবার সন্ধ্যাতেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শহরে পা রাখার পর পরই পাহাড় বন্‌ধের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মোর্চা নেতৃত্ব। তবে, এ বারের বন্‌ধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ, পরিবহণ, হোটেল ও দোকানপাট-সহ অনেক কিছুকেই। মূলত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি এবং জিটিএ-র আওতায় থাকা সমস্ত অফিস বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন বাদে বাকি সব ক’দিন খুলতে দেওয়া হবে না ব্যাঙ্কও। এমনটাই জানিয়েছে মোর্চা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষের চাহিদা এটাই। আর সেই মতো নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। গণস্বাক্ষর অভিযানেও নামা হবে।’’

মোর্চার এই বন্‌ধ কর্মসূচিকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘এটা হঠকারী সিদ্ধান্ত। পাহাড়বাসী বন্‌ধকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না। মানুষ যাতে বন্‌ধকে ব্যর্থ করে রাস্তায় নামে, সেই আহ্বান জানানো হবে।’’ তবে, মোর্চার এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করার আগেই বন্‌ধ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কাল পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল মোর্চা। সে প্রসঙ্গে এ দিন দুপুরে উত্তরকন্যায় মমতা বলেন, ‘‘বন্‌ধ বেআইনি। তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ কিন্তু, মমতা কলকাতা ফিরতেই সেই বন্‌ধকেই হাতিয়ার হিসাবে তুলে নিল মোর্চা।

আরও পড়ুন: ‘লুটেপুটে খাওয়া বরদাস্ত করব না’, গুরুঙ্গকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এর আগে জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ গত কালের বন্‌ধ নিয়ে সুর খানিকটা নামিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, বন‌্ধ ডেকেছিল যুব মোর্চা। তবে, এ দিন দীর্ঘ বৈঠকের পর নিজেদের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ফের গোর্খাল্যান্ডকে অস্ত্র করে আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের একটু অসুবিধে হবে। তবে, খুব বেশি অসুবিধে যাতে না হয় সে জন্য সপ্তাহে দু’দিন (সোম এবং বৃহস্পতি) ব্যাঙ্ককে বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। স্কুল, কলেজের পাশাপাশি খোলা রাখা যাবে দোকানপাটও। এমনকী, পরিবহণ ব্যবস্থাও চালু থাকবে।

বন্‌ধ সর্বাত্মক করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মোর্চা পাহাড়ের সব ব্যবাসায়ীকে জানিয়ে দিয়েছে, এ বার থেকে দোকানের সাইনবোর্ড নেপালি এবং ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে। পাশাপাশি, প্রতি সোমবার পাহাড়ে টর্চ মিছিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gorkha janmukti morcha Strike GTA জিটিএ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE