বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব তাদের হাতে। সেই পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হওয়ায় ৩০ জুলাই পর্যন্ত পিএসসি-র সব রকম নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নিয়োগ স্থগিত করার সঙ্গে সঙ্গে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তকে এই নির্দেশ দিয়েছে, পিএসসি কতটা নিরপেক্ষ, হলফনামা দাখিল করে সেটা জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন: স্কুল বাড়তি টাকা নিলে কড়া ব্যবস্থা
পিএসসি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ভারপ্রাপ্ত স্বশাসিত সংস্থা। কিন্তু ওই সংস্থা এখন নিরপেক্ষ ভাবে এবং সংবিধান মেনে কাজ করছে না বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেছেন পিএসসি-রই এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে অভিযোগ করেন, কয়েক বছর আগেও রাজ্য সরকারের গ্রুপ-বি, সি এমনকী কয়েকটি ক্ষেত্রে গ্রুপ-ডি পদেও কর্মী নিয়োগ করত পিএসসি। এখন ওই সব পদে পিএসসি নিয়োগ করে না। স্বশাসিত ওই কমিশনকে কার্যত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিকাশবাবু শনিবার জানান, মামলার আবেদনে পিএসসি-র চেয়ারম্যান-সহ ছয় সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, সংবিধান মেনে কমিশনের চেয়ারম্যানকে নিয়োগ করা হয়নি। নিরপেক্ষ নন কমিশনের অন্য সদস্যেরাও। নিয়ম অনুযায়ী পিএসসি-র মোট সদস্যের ৫০ শতাংশকে কমপক্ষে ১০ বছর কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের চাকরি করতে হবে। কিন্তু বর্তমান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ৫০ শতাংশ সদস্য কখনওই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনও পদে ছিলেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy