চাঁদিফাটা: তবে স্বস্তির আশ্বাস ক’দিন পরেই। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
কয়েক পশলা বৃষ্টি চাই বাঁচতে!
হাত বাড়ালেই মেঘ। সেই মেঘ উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এতটাই বৃষ্টি নামাচ্ছে যে অনেক জায়গায় তাপমাত্রা কমে কাঁপন ধরাচ্ছে। কিন্তু সেই মেঘ এক ফোঁটাও বৃষ্টি দিচ্ছে না গনগনে চুল্লি হয়ে থাকা রাঢ়বঙ্গ ও ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকায়।
উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বে অসময়ের বৃষ্টির কারণ বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ রেখা। বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে সেটি। আবার রাঢ় বাংলা ও ঝাড়খণ্ড-মধ্য ওড়িশায় তাপের ফাঁদ তৈরির মূল কারিগরও ওই নিম্নচাপ রেখাই। আবহবিদেরা বলছেন, নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি জোলো দখিনা বাতাস টেনে আনছে। যার মূল অংশটি চলে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ হয়ে আরও পুবে। অন্য অংশটি রাঢ় বাংলার দিকে যাওয়ার পথে মুখোমুখি পড়ে যাচ্ছে মধ্য ভারত, ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসা গরম বাতাসের। তাতেই গরম বাতাস ঘুরে গিয়ে তৈরি করছে তাপের ফাঁদ। রাঢ়বঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
কাছেই তীব্রগতির জোলো হাওয়া থাকলেও কেন এক ফোঁটা বৃষ্টি পাচ্ছে না বাঁকুড়া-পুরুলিয়া? আবহবিদেরা বলছেন, জোলো বাতাস কাছাকাছি আসতেই তাকে শুকিয়ে দিচ্ছে তীব্র গরম বাতাস। সেই বাতাস আবার গরম হয়ে উঠে যাচ্ছে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে। গরম বাতাসের আয়তন বাড়াচ্ছে। বৃষ্টি দেওয়ার বদলে তা তাপপ্রবাহের মাত্রাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকা বছরের এই সময়টায় যত বেশি তেতে ওঠে ততই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়ে। তা ছাড়া দরকার জলীয় বাষ্প। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখন তারও ঘাটতি।
ফলে দানা বাঁধতে পারছে না কালবৈশাখীর মেঘ।
কালবৈশাখী না হলে রাঢ়বঙ্গের যেমন স্বস্তি নেই, তেমনই কলকাতা ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গেরও মুক্তি মিলবে না অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে। তাই আমজনতার প্রশ্ন, কবে হবে কালবৈশাখী? আবহবিদেরা আশা দিচ্ছেন, দীর্ঘ হবে না এই পথ চেয়ে থাকা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বঙ্গোপাগরের উপরে থাকা যত নষ্টের গোড়া নিম্নচাপ রেখাটি এ বার ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। আর তাতে আখেরে কালবৈশাখীর সম্ভাবনাই বাড়ছে। হাওয়া অফিসের খবর, ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy