Advertisement
১৭ মে ২০২৪

বহিরাগত ঠেকাতে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতি বছরই বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন ঘিরে অশান্তির অভিযোগ ওঠে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই জড়িয়ে যায় বহিরাগতদের নাম। এ দিন মু্খ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কড়া মনোভাব তুলে ধরে বলেন, ‘‘চাই না ভোটের সময় বহিরাগতরা গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করুক।

বক্তা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শহরে। ছবি: সুমন বল্লভ

বক্তা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শহরে। ছবি: সুমন বল্লভ

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৩:২৫
Share: Save:

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের জায়গা নেই বলে ফের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে নিজের দলের ছাত্র সংগঠনকে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের বিষয়টিও বোঝালেন তিনি। পাশাপাশি পড়ুয়াদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলনেত্রী।

প্রতি বছরই বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন ঘিরে অশান্তির অভিযোগ ওঠে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই জড়িয়ে যায় বহিরাগতদের নাম। এ দিন মু্খ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কড়া মনোভাব তুলে ধরে বলেন, ‘‘চাই না ভোটের সময় বহিরাগতরা গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করুক। বহিরাগতরা বাইরেই থাক।’’ তাঁর মতে, কলেজের ছাত্রেরা কলেজে থাকবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন: ছাত্ররা বুথ শক্ত করুক, চান মমতা

কিছু দিন আগে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্র সংসদের বদলে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘সেন্ট জেভিয়ার্স, লেডি ব্রেবোর্নে এই রকমই ছাত্র কাউন্সিল রয়েছে।’’ নিজের দলের ছাত্র সংগঠনকেও এই আদলেই ছাত্র কাউন্সিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সভায় উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহু কলেজে ছাত্র কাউন্সিল রয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে দেখতে চাই, এটা আমরা চালু করতে পারি কিনা।’’ তিনি জানান, কলেজে নবীন বরণ, দেওয়াল পত্রিকা যেমন এত দিন পড়ুয়ারা করে আসছেন, তেমনই করবেন। কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে নৈরাজ্যের ঘটনা বছরের পর বছর ধরে ঘটে চলেছে, সরকার তার অবসান চাইছে। সে জন্যই অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ তৈরির সিদ্ধান্ত।

ইতিমধ্যেই ছাত্র কাউন্সিল নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে প্রায় দেড় দিন ঘেরাও করে রেখেছিলেন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী গেলে পড়ুয়ারা তাঁর সামনে বিক্ষোভও দেখান। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ দিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘যাদের অনেক কিছুতে আপত্তি রয়েছে, তাদের বলছি, আলোচনার পথ খোলা। হোক কলরব, হোক ইউনিয়ন অনেক হয়েছে। এ বার হোক পড়াশোনা।’’

এ দিন পড়ুয়াদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির প্রচারের পাল্টা জবাব দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। তাঁর দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কতটা সক্রিয়, তা তিনি নিজে নজর রাখবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE