সুব্রত: (ইকবালকে দেখে) আয়। ভাল আছিস?
ইকবাল: ভাল আছি।
সুব্রত: (তৃতীয় ব্যক্তিকে ডেকে একটি বাক্স এগিয়ে দিলেন) এই, ওদের দিয়ে দে তো এটা।
ইকবাল: (সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে) আপনি এখানে বসুন।
সুব্রত: বস, বস, তুই বস।
ইকবাল: ... (অস্পষ্ট)
সুব্রত: (সোফায় বসতে বসতে) কোত্থেকে?
ইকবাল: চেন্নাই থেকে।
সুব্রত: চেন্নাই থেকে, রাইট।
নারদ নিউজ: স্যার, দিস ইজ মাই কার্ড।
সুব্রত: (কার্ড নিয়ে) আচ্ছা।
নারদ নিউজ: আমি সন্তোষ শঙ্করণ।
সুব্রত: আচ্ছা, রাইট, রাইট।
নারদ নিউজ: স্যর আমরা ২৫-৩০টা বহুজাতিক সংস্থার জন্য লিয়াজঁয়িং করছি।
সুব্রত: রাইট।
নারদ নিউজ: ভারতে এবং বিদেশেও। ইউকের সংস্থা দুবাইয়ের সংস্থা। এই সব লোকজন সরাসরি রাজনীতিকদের কাছে যান না। আমরা সেই দায়িত্বটা নিচ্ছি। আমি আপনাকে উদ্দেশ্যটা বলি। সামনে যে নির্বাচনটা রয়েছে, তার পর টিএমসি খুব গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠবে।
সুব্রত: কে?
নারদ নিউজ: টিএমসি।
সুব্রত: হ্যাঁ।
নারদ নিউজ: যদি টিএমসি বিজেপি বা কংগ্রেসকে সমর্থন করে...। মানে টিএমসি-কে ছাড়া কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না।
সুব্রত: কাকে ছাড়া?
নারদ নিউজ: টিএমসি... তৃণমূল কংগ্রেস... তাকে ছাড়া কেন্দ্রে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না।
সুব্রত: না, না।
নারদ নিউজ: স্যর, সেটাই সম্ভাবনা। বিশ্লেষণ তাই বলছে।
সুব্রত: দেখুন, এক অর্থে, সবই ফলাফলের উপর নির্ভর করছে।... তৃণমূল কংগ্রেস ৩০, ৩৪, ৩৫, ৩৬টা আসন পেতে পারে। সর্বাধিক। এবং সেটা খুব ভাল ফল, সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা অর্থহীন হয়ে যাবে, যদি নরেন্দ্র মোদী বা তাঁর দল ২০০ প্লাস আসন পায়। ২০০ অথবা ২০০ প্লাস। যদি ওঁরা ২০০ আসন পান, তা হলে অনেক আঞ্চলিক দলই সোজা লাফিয়ে নরেন্দ্র মোদীর দিকে চলে যাবে। মমতা একা দূরে থাকবেন। কারণ, আমার বাংলায় আমার নেত্রীর বিপুল জনসমর্থন রয়েছে। সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার নেত্রীর জাতীয় স্তরে কোনও সমর্থন নেই। রাষ্ট্রপতি থেকে কংগ্রেস থেকে বিজেপি... কেউ মমতাকে সমর্থন করছেন না। দিল্লির কথা বলছি, এখানকার কথা নয়। তাই কেউ তাঁকে বিশ্বাস করবেন না। এটা হচ্ছে খুব বড় মাইনাস পয়েন্ট। বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, বাঙালিদের মধ্যে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনসমর্থন। ... কিন্তু যদি নরেন্দ্র মোদী ২০০ প্লাস পান, তা হলে তাঁকে (মমতা) শুধু কাঁদতে হবে, কেউ তাঁর কাছে আসবেন না। এর পর কী হবে? সরাসরি বা ঘুর পথে, কেনওভাবেই তিনি নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপিকে ছুঁতে পারবেন না। তাঁর দল শুধু ভাগ হয়ে যাবে না, টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। যদি তিনি ওখানকার (মোদী) থেকে সাহায্য নেন, টাকার জন্য হোক বা অন্য কোনও কারণে, আমরা ফিরে যাব।
ইকবাল: একদমই তাই।
নারদ নিউজ: (হাসতে হাসতে) হ্যাঁ, এ তো একেবারেই ঠিক কথা।
সুব্রত: এটা একদম সাধারণ কথা, না হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে।
ইকবাল: (নারদ নিউজের প্রতিনিধিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে বললেন) ... সেকেন্ড ম্যান।
সুব্রত: না। আমি শুধুমাত্র সাহায্য করতে পারি।... আপনি থাকছেন কোথায়?
নারদ নিউজ: আমি থাকছি কেনিলওয়ার্থে।
সু্ব্রত: ও কেনিলওয়ার্থে। মানে শুধু এই কাজেই...
নারদ নিউজ: হ্যাঁ, শুধু এই কাজেই এসেছি।
সুব্রত: আপনাদের ব্যবসাটা চেন্নাই থেকে চলে?
নারদ নিউজ: হ্যাঁ। চেন্নাই।
নারদ নিউজ: স্যার আমাদের সঙ্গে অনেকগুলো বহুজাতিক সংস্থা রয়েছে। নির্বাচনের পরে আপনাদের থেকে আমরা সাপোর্টটা চাই।
সুব্রত: আমি বুঝতে পেরেছি। আমি বুঝতে পেরেছি... (অস্পষ্ট)। এমনকী কলকাতাতেও এমন অনেক শিল্পপতি আছেন যাঁরা মমতাকে সাহায্য করেছিলেন নন্দীগ্রামের সময়। আপনারা অনেক সংগঠিত ওরা একটু অসংগঠিত। কিন্তু আপনারা সবাই একই কাজ করছেন।
নারদ নিউজ: একদম ঠিক বলেছেন। আমি এটাই বলছিলাম। একই কাজ করছি।
সুব্রত: এমনকী আমলাদের মধ্যেও এ রকম রয়েছেন, কেউ এই দলে থাকেন, কেউ অন্য দলে থাকেন।
নারদ নিউজ: আমরা নির্বাচনে আপনাদের সাহায্য করছি এটা অনেকটা অ্যাডভান্স দেওয়ার মতো। আপনারা জিতে ফেরার পর আমাদের কাজটা করে দেবেন।
সুব্রত: ঠিক। ঠিক।
নারদ নিউজ: আপনার জন্য কিছু টাকা এনেছি।
সুব্রত: ঠিক আছে দিন।
ইকবাল: আর বাকি এক লাখ মনে করে দিয়ে দেবেন। সেকেন্ড ম্যান কিন্তু।
নারদ নিউজ: অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই।
সুব্রত: (হেসে) ও আমায় ভালবাসে সে জন্যই...। ও আমার সঙ্গে আছে। ওই হল সেই ব্যক্তি যে আমাকে মেয়র বানিয়েছিল।
নারদ নিউজ: (টাকা বের করে টেবিলে রেখে) এই ৪ লাখ আর ১ লাখ আমি ওঁর (ইকবালের) মাধ্যমে দিয়ে দেব।
সুব্রত: (টাকা হাতে তুলে নিয়ে) ঠিক আছে।
নারদ নিউজ: ঠিক আছে স্যার। ধন্যবাদ। শুধু আপনার আশীর্বাদটা দেবেন। তাতেই হবে।
সুব্রত: ঠিক আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy