অলোক রাজোরিয়া
রাজ্যের অন্য জেলায় যখন পুলিশকে কার্যত তুলোধোনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বিপরীত ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলার চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদে দাঁড়ি টানতে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে পুলিশকে। আর এই ঘটনায় শাসক দলের অন্দরেই প্রশ্ন, জঙ্গলমহলের জেলার জন্য কি পুরনো ‘ভারতী-মডেল’ বহাল রাখতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী!
চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের বাড়িতে হামলায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেনি। তা-ও শুধু তৃণমূলের দলীয় নির্দেশে বিবাদের মীমাংসায় উদ্যোগী জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। বৃহস্পতিবার ছায়া-সহ একাধিক নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিশ সুপার। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার দাবি, “চন্দ্রকোনার ঘটনায় জেলা সভাপতি ও রাজ্য সভাপতির কাছে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের আমলের স্মৃতি। জেলায় থাকাকালীন ভারতীই ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা— তা সে মাওবাদী দমন হোক বা গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকানো। বিরোধীরাও তখন কটাক্ষ করতেন, ‘ভারতী ঘোষই তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী’। ভারতী-পর্ব এখন অতীত। তবু ‘ভারতী-হীন’ জেলায় ফের পুলিশ সুপারের উপরেই কোন্দল মেটানোর ভার বর্তানোয় জল্পনা শুরু হয়েছে। সরাসরি বৈঠকের কথা না মানলেও অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এমন কাজ যাতে আর না হয়, তা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
কৃষকদের ক্ষতিপূরণ বিলিতে পক্ষপাতের নালিশ ঘিরে চন্দ্রকোনা ব্লক কৃষি দফতরে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদ হয়েছিল। সে কথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কানে ওঠে। মঙ্গলবার রাতে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা বিধায়ক ছায়ার বাড়িতে বৈঠক বসে। সেই সময় তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি হীরালাল ঘোষের সঙ্গে সভাপতি অমিতাভ কুশারীর গন্ডগোল বাধে। বিধায়কের বাড়িতে হামলা হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানান, এ দিন জেলা কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy