পীযৃষবাবু। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দাদা পীযূষ মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। শুক্রবার বিকেলে বোলপুরের জামবুনিতে বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পীযূষবাবু বিশ্বভারতীর পাঠভবনের শিক্ষক ছিলেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার জঙ্গিপুরের গঙ্গাপাড়ে সদরঘাট শ্মশানে পীযূষবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। দাদার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে শনিবার বোলপুরে যাচ্ছেন প্রণববাবু।
পীযূষবাবুর দীর্ঘ দিনের গৃহ-চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপজনিত অসুখে ভুগছিলেন পীযূষবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এ দিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।’’ গত ২৩ জানুয়ারি প্রয়াত হয়েছিলেন পীযূষবাবুর স্ত্রী মঞ্জু মুখোপাধ্যায়। তার পর থেকে একাই থাকতেন তিনি। মঞ্জুদেবীর মৃত্যুর পর বোলপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রণববাবু। এ দিন জেঠুর মৃত্যুর খবর পেয়ে বোলপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি-পুত্র তথা সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমরা পরিবারের অভিভাবককে হারালাম।’’ রাজ্য প্রশাসনের তরফে পীযূষবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
লাভপুরের যাদবলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে বহু দিন কর্মরত ছিলেন পীযূষবাবু। পরে বিশ্বভারতীর শিক্ষাসত্রের অধ্যক্ষ হন। সেখান থেকে অবসর নিয়ে বিশ্বভারতীর ‘ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় সংহতি কেন্দ্র’-এর প্রথম সঞ্চালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এমন ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে শোকাহত জামবুনি এলাকা। বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অমিত হাজরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর তথা বিধায়ক নরেশ্চন্দ্র বাউড়ি প্রমুখ যান তাঁর বাড়িতে। কীর্ণাহার থেকে বোন অন্নপূর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য আত্মীয়েরাও গিয়ে পৌঁছন। পীযূষবাবুর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত। তিনি বলেন, “পীযূষবাবু এক জন স্বনামধন্য ব্যক্তি ছিলেন। আমি বিভিন্ন সময় তাঁর কাছ থেকে অনেক পরামর্শ নিতাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy