Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ছাদে উঠে আফরাজুলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা সেলিমের

শুধু সেলিমই নয়, ছিলেন চার দলীয় বিধায়কও। তৃণমূলের সাংসদ মন্ত্রীরা সৈয়দপুরের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সভা করেছিলেন, সেই একই জায়গায় ছোট মাপের জনসভাও করলেন সেলিম। সেখানে এই আফরাজুল কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়কেই বিঁধলেন তিনি।

পাশে: আফরাজুলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা সাংসদ সেলিমের। নিজস্ব চিত্র

পাশে: আফরাজুলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা সাংসদ সেলিমের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৫
Share: Save:

এটাও যেন একটা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। শুরুটা অবশ্য করেছিলেন তাঁরাই। আফরাজুল খানের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতে, সেই রাতেই প্রথম ছুটে গিয়েছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ জেলা নেতৃত্বের অনেকেই। কিন্তু তারপর থেকে তৃণমূল ও কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ-মন্ত্রীর ভিড়ে পরপর কয়েকদিনে তাঁরা যেন হারিয়েই গিয়েছিলেন। এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির দলীয় এক সদস্য থাকলেও তিনিও হেভিওয়েটদের মাঝে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। সহানুভূতির হাওয়া পালে টানতে স্বাভাবিক ভাবেই পিছিয়ে পড়েছিল তারা। মঙ্গলবার সাংসদ তথা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমকে নিয়ে গিয়ে কিছুটা হলেও শোক দখলে থাকল সিপিএম।

শুধু সেলিমই নয়, ছিলেন চার দলীয় বিধায়কও। তৃণমূলের সাংসদ মন্ত্রীরা সৈয়দপুরের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সভা করেছিলেন, সেই একই জায়গায় ছোট মাপের জনসভাও করলেন সেলিম। সেখানে এই আফরাজুল কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়কেই বিঁধলেন তিনি।

মালদহ জেলা সিপিএম পার্টি অফিস থেকে এদিন সকাল ১০টাতে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েন সাংসদ সেলিম। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র ও জেলারই হবিবপুরের বিধায়ক খগেন মুর্মু ও দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বিধায়ক রফিকূল ইসলাম। জালালপুর স্ট্যাণ্ডে আগে থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুই বিধায়ক আনিসুর রহমান ও কানাইচন্দ্র মণ্ডল। সৈয়দপুরে পৌঁছেই সেলিম চলে যান আফরাজুলের বাড়ি।

বাড়ির ছাদের ওপর তখন তিন মেয়েকে নিয়ে বসে গুলবাহার বিবি। সেলিমও তাঁদের সঙ্গেই ছাদে বসে পড়েন। গুলবাহার বিবির কাছে পরিস্থিতি জানতে চান। গুলবাহার বিবি এদিনও স্বামী খুনে অভিযুক্তের ফাঁসি দাবি করেন। সেখানেই সেলিম তাঁদের বলেন, আফরাজুলের মৃত্যুর দুঃখটা তাদের একার নয়। সকলেরই। খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লোকসভাতে সরব হবেন বলেও জানান। এমন যেন আর কেউ না করতে পারে সে জন্য দেশজুড়ে আওয়াজ তোলারও আশ্বাস দেন। পরে সৈয়দপুরে জনসভায় সেলিম বলেন, আফরাজুলের খুনের ঘটনা লাভ জেহাদ নয়, এটি একটি ঘৃণার রাজনীতির খুন।

আফরাজুল খুনের প্রতিবাদে নিয়মিত কর্মসূচি জারি রেখেছে কংগ্রেস। এ দিন কালিয়াচক ১ ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে কালিয়াচক চৌরঙ্গি থেকে একটি বিশাল মৌন মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে। সেই মিছিলে দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম নূর, দুই বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, ইশাখান চৌধুরীরা ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rajasthan Love Jihad CPM Mohammed Salim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE