দ্বিধায় পড়েছে আলিমুদ্দিন! আপাতত তারা তাকিয়ে সীতারাম ইয়েচুরির দিকে!
দলের একাংশের ক্ষোভ শিরোধার্য করে কড়া শাস্তি? নাকি রাজ্যসভায় তরুণ সাংসদের পারফরম্যান্স মাথায় রেখে শুধু সতর্কীকরণ? সংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে উদ্ভুত বিতর্কে এখন এই দোলাচলেই পড়েছে রাজ্য সিপিএম। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার আলিমুদ্দিনে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সামনে হাজির হয়ে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঋতব্রত। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে ক্ষুব্ধ হয়ে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থাকে চিঠি পাঠাতে যাওয়া তাঁর উচিত হয়নি। ভুল বুঝতে পেরে তার পরেই ফের তিনি চিঠি পাঠিয়ে আগের চিঠি প্রত্যাহার করেছিলেন। যদিও আগের চিঠিতে ‘চাকরি খেয়ে নেওয়া’র কোনও ‘হুমকি’ ছিল না। এর পরেও দল
যদি তাঁকে কোনও নির্দেশ দেয়, তিনি মাথা পেতেই নেবেন। তবে কলকাতা জেলা সিপিএমের একাংশ যে রীতিমতো পরিকল্পনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের কিছু রাজ্য নেতা ও তাঁদের আস্থাভাজনদের হেয় করছে, তা-ও আলিমুদ্দিনকে জানাতে ভোলেননি ঋতব্রত।
এই পরিস্থিতিতে এ দিন থেকে শুরু হওয়া রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঋতব্রত-প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়নি। দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরির আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে হাজির থাকার কথা। যে হেতু তিনিই রাজ্যসভায় সংসদীয় দলের নেতা এবং দিল্লিতে পলিটব্যুরো বৈঠকে এক বার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে, তাই তার সঙ্গে অন্তত ঘরোয়া ভাবে হলেও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চান সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘ঋতব্রতের বক্তব্যে যথেষ্টই ভুল স্বীকারের সুর ছিল। ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের বক্তব্য আগেই রাজ্য স্তরে জমা পড়েছে। এর পরে কী করণীয়, সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ নিয়েই ঠিক করা হবে।’’ তবে দলীয় সূত্রের খবর, সাংসদকে সতর্ক বা ভর্ৎসনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েই তা রাজ্য কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। রাজ্য কমিটির সদস্যেরা ইয়েচুরির সামনেই সম্ভবত বলার সুযোগও পাবেন।
দলীয় সূত্রের খবর, তাঁর নিজের চিঠি, আরও বেশ কিছু কাগজপত্র ও প্রচুর স্ক্রিনশট জোগাড় করে এ দিন সূর্যকান্ত মিশ্র, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুদের সামনে হাজির হন ঋতব্রত। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে শুনানিতে তাঁর বক্তব্যের মূল কথা, বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দলেরই কর্মী-সমর্থকদের পরিচালিত একটি গ্রুপ বুদ্ধ-সূর্য-বিমানদের নিয়ে বিদ্রুপ করেছে। তারাই নিশানা করেছে তাঁকে। সাংসদের অভিযোগ, সমস্যার সূত্রপাত দলের মধ্যে থেকেই। বিদেশি ব্র্যান্ডের তাঁর যে পেন নিয়ে এত হইচই, রাজ্যসভায় তাঁর বত্তৃতায়
খুশি হয়ে তৎকালীন ডেপুটি চেয়ারপার্সন নাজমা হেফতুল্লা সেটি উপহার দিয়েছিলেন বলেও দলকে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy