দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পঞ্চায়েত স্তরকে দুর্নীতি-মুক্ত করতে চাইছে তৃণমূল। সে জন্য দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের এমন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চিহ্নিত করে তাদের বাদ দেওয়ার পক্ষপাতী তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের তরফে জেলা সভাপতিদের কাছে সেই সব দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে ডুমুরজলায় ছাত্র-যুব সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘লোভ সংবরণ করা রাজনীতির বড় হাতিয়ার। যারা লোভ সংবরণ করে দেখাতে পারে, নিজের জন্য দলকে বিক্রি করে না, আমি তাদের সবথেকে বেশি ভালবাসি।’’ তাঁর নির্দেশমাফিক প়ঞ্চায়েতের আসন ধরে ধরে দুর্নীতিপরায়ণদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।
আবার পরিবারতন্ত্র যাতে দানা বাঁধতে না পারে, সে দিকে নজর রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। শনিবার ভাঙড়ে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও বলেন, ‘‘সংরক্ষণের জন্য কেউ যদি টিকিট না পান, তা হলে তাঁর বউকে দাঁড় করানো হবে, এটা ভাবা ভুল। এটা কি জমিদারি! এ বার যদি তেমন হলে সেই পঞ্চায়েতে তালা মেরে দেওয়া হবে।’’
পঞ্চায়েত-কাঠামোর উপর নির্ভর করেই আগামী ভোটগুলির মোকাবিলা করতে হবে দলকে। তাই এখন থেকেই দলের ‘শুদ্ধকরণ’ করা হবে বলে দাবি করছে তৃণমূল। তবে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেই ফেললেন, ‘‘তৃণমূল দুর্নীতিহীন! এ তো সোনার পাথর-বাটি! নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের টিকিট দেবেন অথচ দুর্নীতিগ্রস্তদের টিকিট দেবেন না, তা হলে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে!’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহরও কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো বিধানসভা ভোটের সময় বলেছিলেন, নারদ-কাণ্ড আগে জানলে অভিযুক্তদের টিকিট দিতাম না। অথচ জেনেও সেই অভিযুক্তদেরই মন্ত্রী করেছেন! আসলে দুর্নীতির সঙ্গে আপস করেই উনি চলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy