ফাইল চিত্র।
সাঁতরাগাছি ঝিল ও সংলগ্ন এলাকাকে ‘সাইলেন্স জোন’ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল। শুক্রবার জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানিয়েছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে, ২১ অগস্ট রাজ্যের পরিবেশ সচিব এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন। এই ঝিলের দূষণ নিয়ে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বলা হয়েছিল, অতিরিক্ত শব্দের জেরে পাখিদের ক্ষতি হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই ‘সাইলেন্স জোন’ ঘোষণা করতে বলেছিল আদালত।
পরিবেশকর্মীদের অনেকে এবং রেলের একাংশ অবশ্য প্রশ্ন তুলেছিল, অতিরিক্ত শব্দের জেরে সত্যিই কি পাখিদের ক্ষতি হচ্ছে? এ দিন আদালত জানিয়েছে, এ বিষয়ে পরিবেশ ও পক্ষীপ্রেমী সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করাতে হবে। আদালত এ-ও জানিয়েছে, ‘সাইলেন্স জোন’ যাতে বজায় থাকে সে ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব রেল, হাওড়া পুরসভা ও হাওড়া পুলিশকে পদক্ষেপ করতে হবে।
সাঁতরাগাছি ঝিলে দূষণের জেরে কয়েক বছর আগে একাধিক পরিযায়ী পাখির মৃত্যু হয়েছিল। সুভাষবাবুর অভিযোগ ছিল, ওই এলাকার নিকাশি জল এবং বর্জ্য ঝিলে পড়ে তাকে দূষিত করছে। জলের নীচে প্লাস্টিক-সহ প্রচুর বর্জ্য জমেছিল। আদালতের নির্দেশে প্রশাসন তা সাফ করতে শুরু করে। কিন্তু সুভাষবাবুর অভিযোগ, ঝিল সাফ করতে গিয়ে পাখিদের বাসস্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়টিও পক্ষীপ্রেমী সংস্থার সমীক্ষায় দেখতে বলা হয়েছে।
ওই এলাকায় নিকাশি শোধনের জন্য একটি কেন্দ্র গড়তে বলা হয়েছে। তার ৮২ শতাংশ খরচ দেবে হাওড়া পুরসভা, বাকিটা বহন করবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। কিন্তু পুরসভা জানায়, ওই জমির দাম নিয়ে জটিলতা আছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ঝিল সংলগ্ন দখলদার কেন উচ্ছেদ করা হয়নি, সে ব্যাপারে হাওড়ার পুর কমিশনারকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy